অনেক বিতর্ক আর সমালোচনাকে সঙ্গী করেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মসনদে বসেছিলেন নাজাম শেঠি। এই মাসের শেষ সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে নাজাম শেঠি ও তাঁর বোর্ডের মেয়াদ।
তবে, মেয়াদ শেষের আগেই বড়সর আরেকটি রদবদল করতে চলেছেন শেঠি। পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করা হবে এই মাসেই। সেই কেন্দ্রীয় চুক্তিয়ে আসতে পারে বেশ বড়সর কিছু পরিবর্তন।
২০২৩-২৪ সালের জন্য নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির খসড়া প্রায় প্রস্তুত করে ফেলেছে পিসিবি। ক্রিকেটারদের সাথে পিসিবির চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ জুন। আশা করা হচ্ছে এর আগেই ঘোষিত হবে নতুন চুক্তি।
বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, নতুন চুক্তিতে ২০ শতাংশ হারে বেতন বাড়তে পারে বাবর আজমদের। অধিনায়ক বাবর আজমের সাথে আলোচনা করেই চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠানো হবে নাজাম শেঠির কাছে।
আগের চুক্তিতে সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি ‘এ’ তে থাকা বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহীন শাহ আফ্রিদি, শাদাব খান, ফখর জামানরা এবারো থাকছেন একই ক্যাটাগরিতে। এছাড়াও দুই পেসার নাসিম শাহ ও হারিস রউফও প্রমোশন পেতে পারেন ক্যাটাগরি ‘এ’ তে। যার মধ্যে লাল এবং সাদা বলের উভয় ক্যাটাগরিতেই থাকতে পারেন নাসিম শাহ।
প্রধান নির্বাচক হারুন রশীদ এই নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসবেন পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার, প্রধান কোচ গ্র্যান্ট ব্রাডবার্ন এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অপারেশন্স পরিচালক উসমান ওয়াহলার সাথে, এরপরই চূড়ান্ত হবে কেন্দ্রীয় চুক্তির এই তালিকা।
চুক্তিতে সাদা ও লাল বলের আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে আছে তিনটি করে ক্যাটাগরি। এছাড়াও প্রতিভাবান তরুণদের জন্য আছে আলাদা ক্যাটাগরি।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ায় স্বাভাবিকভাবেই লাল বলের চুক্তি থেকে নাম কাটা যাচ্ছে আজহার আলীর। এছাড়াও চুক্তি থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন ফাওয়াদ আলম, হায়দার আলী, আবিদ আলী,ইয়াসির শাহ, নোমান আলী, খুশদিল শাহ, উসমান কাদির ও জিহাদ মেহমুদের মত ক্রিকেটাররা।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নিজ অবস্থান ধরে রাখতে যাচ্ছেন, ইফতিখার আহমেদ, সায়িম আইয়ুব, ইহসানউল্লাহ, উসামা মীর, মোহাম্মদ হারিসরা। আগের বারের মতই লাল বলের চুক্তিতে থাকছেন সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।