খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের মেজাজ হারানোর দৃশ্য মোটেই নতুন কিছু নয়। দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি কখনো কখনো হাতাহাতির পর্যায়ে যাওয়ারও ইতিহাস রয়েছে। ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটের আভিজাত্যেও কালি লাগার বেশ কয়েকটা নমুনা রয়েছে।
একবার জাভেদ মিয়াদাদ অস্ট্রেলিয়ার পেসার ডেনিস লিলিকে ব্যাট উঠিয়ে মারতে গিয়েছিলেন। আর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) হরভজন সিং তো শ্রীশান্তকে চড়ই বসিয়ে দিয়েছিলেন। এবার এমন এক ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল)।
তবে পরিস্থিতি জাভেদ মিয়াদাদ কিংবা হরভজন সিংয়ের মতো গুরুতরও নয়। নিতান্তই মজাদার এক দৃশ্য। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এ দৃশ্যের অবতারণা করেছেন দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার আজম খান আর নাসিম শাহ্।
খুলনা টাইগার্সের ইনিংসের শেষ ওভারে তখন ব্যাট করতে মাঠে নেমেছিলেন আজম খান। এমন সময় ফিল্ডিংয়ে থাকা নাসিম শাহ্ আজম খানের দিকে তেড়ে যান। হাসোজ্জ্বল ভাবেই মজা করতে দেখা যায় তাঁকে। ভিডিওতে বোঝাই যাচ্ছিল, আজম খানের স্থূলকায় দেহ নিয়ে মজা করছিলেন নাসিম। তবে তাতে আজম খানও আবার খানিকটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখান। ধাক্কা দিয়ে খানিকটা দূরে ঠেলে দেন নাসিমকে। সে সময় আসলেই আজম খান আসলেই সিরিয়াস ছিলেন কিনা তা ভিডিওতে ঠিকঠাক বুঝা যায়নি।
তবে তারপরও আজম খানের পিছু ছাড়েননি নাসিম শাহ্। পিছনে গিয়ে আজম খানের দেহের আকার নিয়ে মক করতে দেখা যায় এ পেসারকে। নাসিম শাহ্ আর আজম খানের এ দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে যেতে আর সময় লাগেনি। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। যদিও টুইটার ব্যবহারকারীরা ভালভাবে নেননি ভিডিওটিকে। আজম খানকে বডি শেমিং করেছেন নাসিম, এমন দাবিও করেছেন কেউ কেউ।
ব্যাট হাতে এ দিন মাত্র ৪ টি বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন আজম খান। তাতে ১২ টা রান করেন তিনি। আর কুমিল্লার হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন নাসিম শাহ্। তামিমের ৯৫ আর শাই হোপের ৯১ রানের ইনিংসে ২১০ রান করেছিল খুলনা টাইগার্স। যদিও খুলনার সে রান পাহাড় কুমিল্লা টপকে যায় ১০ বল হাতে রেখেই। জনসন চার্লসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ম্যাচটি জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।