মালিকের ফিটনেস ২৫ বছর বয়সী ক্রিকেটারের চেয়েও ভাল!

এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এরপর আর সুযোগ মেলেনি। তারপরও ক্যারিয়ারের এই সময়ে এসে তিনি আবারো পাকিস্তান দলে ফিরতে চান। ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম সংস্করণে আবারো দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চান। ক্রিকেটটা বেশ উপভোগ করছেন তিনি। আপাতত অবসরের কথা ভাবছেন না।

এই ফেব্রুয়ারিতে ৪১ পেরিয়ে ৪২ এ পা দিয়েছেন। তারপরও যেন চোখেমুখে উদ্দাম তারুণ্যে ভরপুর। যে বয়সে সিংহভাগ ক্রিকেটারই বাইশ গজ থেকে পাঠ চুকিয়ে নেন, সেখানে তিনি তা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন বেশ শক্তপোক্তভাবে। যেভাবে তিনি খেলে যাচ্ছেন তাতে মনে হয়, তাঁর প্রতিযোগিতাটা যেন উঠতি ক্রিকেটারদের সাথে। বলছি শোয়েব মালিকের কথা।

টেস্ট ও ওয়ানডে- দুই ফরম্যাট থেকেই অবসর নিয়েছেন। তবে এখনও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে ইতি টানেননি। এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এরপর আর সুযোগ মেলেনি।

তারপরও ক্যারিয়ারের এই সময়ে এসে তিনি আবারো পাকিস্তান দলে ফিরতে চান। ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম সংস্করণে আবারো দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চান। ক্রিকেটটা বেশ উপভোগ করছেন তিনি। আপাতত অবসরের কথা ভাবছেন না। এ নিয়ে ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজের সাথে কথা বলেছেন শোয়েব মালিক।

বয়স একটা সংখ্যা মাত্র- এই আপ্ত বাণী অনেকে ধারণ করলেও উক্তিটি খুব একটা প্রতিষ্ঠিত নয়। তাই চল্লিশোর্ধ্ব ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা মানেই এখন অভাবনীয় একটা ব্যাপার হয়ে উঠেছে। শোয়েব মালিকের আপত্তিটা এখানেই।

অনেকটা আকুতি জানিয়েই বললেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমি দলের সবচেয়ে বয়স্ক সদস্য হতে পারি। কিন্তু আমার ফিটনেস একজন ২৫ বছর বয়সী ক্রিকেটারের চেয়েও ভাল। মাঠে গেলে এখনও আমার ভাল বোধ হয়। আর এটাই আমাকে অনুপ্রাণিত করে। এজন্য আমি এখনও অবসরের কথা চিন্তা করিনি। আমি যেখানেই সুযোগ পাই সেখানেই খেলতে চাই। আমি তো টেস্ট আর ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা আরো বেশ কিছুদিন চালিয়ে যেতে চাই।’

কিছুদিন আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে  (বিসিবি) পালাবদল ঘটেছে। রমিজ রাজার জায়গায় এসেছেন নাজাম শেঠি। এরপর থেকে অনেকেই মনে করছেন, দলে শোয়েব মালিকের অন্তর্ভূক্তি হতে পারে। কারণ আগের বোর্ডের সাথে শোয়েব মালিকের একটা রেষারেষির সুর শোনা গিয়েছিল। তবে শোয়েব নিজে অবশ্য সেটি মনে করেন না।

তিনি বলেন, ‘আমি একজন ক্রিকেটার। এমন পরিবর্তন এর আগে বহু দেখেছি। এখানে নির্দিষ্ট ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ যৎসামান্যই হয়। আর আমি এভাবে কারো সহায়তা নিয়ে দলে ঢুকতেও চাই না।’

এখনকার ক্রিকেটটা বড্ড বেশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। এফটিপিতে আগের চেয়ে দল গুলোর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ সংখ্যা বাড়ছে। এর পাশাপাশি ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট গুলো তো আছেই । সব মিলিয়ে সময়ের বিবর্তনে ক্রিকেটের সংজ্ঞার পরিবর্তন হচ্ছে। আগের চেয়ে ক্রিকেট এখন হয়ে উঠছে অনেক গতিশীল। শোয়েব মালিকের কাছেও ঠিক তেমনটিই মনে হয়।

তাঁর কাছে, ক্রিকেটের ধরন পাল্টানো শুরু হয়েছে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটও অনেকখানি বদলে গেছে। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরু হলো, তখন ভাবতাম ১৩০/১৪০ রানই যথেষ্ট। কিন্তু এখন দেখুন, সেই রানটা ২২০/২৩০-এ গড়াচ্ছে। এটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিবর্তন। আর এই ফরম্যাটের জন্য ক্রিকেটটাও বদলে গিয়েছে। এখন শীর্ষ পর্যায়ে নিজেকে টিকিয়ে রাখা আগের চেয়ে অনেক কঠিন।’

রংপুর রাইডার্সের হয়ে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে এসেছেন শোয়েব মালিক। এখন পর্যন্ত ব্যাট হাতে বেশ সফল ৪১ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। ৮ ম্যাচে ২ ফিফটিতে করেছেন ২৩১ রান। এর মধ্যে এক ম্যাচে ৭৫ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...