ভিন্ন স্কোয়াড নিয়ে বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড

বেশ শক্তিশালী একটা দল নিয়েই তাঁরা হাজির হচ্ছে বাংলাদেশের ম্যাচে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ যেন হিংস্র বাঘের চাইতেও ভয়ংকর। সেই বিষয়টা নিশ্চয়ই বেশ ভাল করেই জানা ইংলিশ ক্রিকেটের কর্তাদের।

একটা ব্যস্ত সময়ের মধ্য দিয়ে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সেই ব্যস্ততার শুরুটা ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ দিয়ে। আগামী মার্চ মাসেই ক্রিকেটের মোড়ল খ্যাত ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসবে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে। সে সিরিজকে সামনে রেখেই দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড।

বেশ শক্তিশালী একটা দল নিয়েই তাঁরা হাজির হচ্ছে বাংলাদেশের ম্যাচে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ যেন হিংস্র বাঘের চাইতেও ভয়ংকর। সেই বিষয়টা নিশ্চয়ই বেশ ভাল করেই জানা ইংলিশ ক্রিকেটের কর্তাদের। কেননা ২০১৬ সালেই তো একেবারে নাকানিচুবানি খেয়ে গেছে গোটা ইংল্যান্ড দল। টাইগার ক্রিকেটের দূর্গ মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেবার ধরাশায়ী হয়েছিল ইংল্যান্ড টেস্ট দল।

তাইতো বাড়তি সতর্কতা মেনেই দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। জশ বাটলারের অধীনে জোফরা আর্চার, মার্ক উড, ক্রিস ওকসদের নিয়ে সাজিয়েছে বোলিং আক্রমণ। সেই সাথে আঠারো বছর বয়সী লেগ স্পিনার রেহান আহমেদ। এছাড়াও মঈন আলী, স্যাম কারানদের মত অলরাউন্ডাররাও থাকছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে। যদিও দলের অন্যতম সদস্য বেন স্টোকস থাকছেন না বাংলাদেশ সফরে।

প্রায় একই স্কোয়াড নিয়ে খেলতে আসছে তাঁরা। তফাৎ অবশ্য দুই জায়গায়। ওয়ানডে দলে থাকছেন জেসন রয় ও সাকিব মাহমুদ। অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি দলে তাদের পরিবর্তে সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিস জর্ডান ও বেন ডাকেট। এই দুই পরিবর্তন। এছাড়া দলের অধিনায়ক থেকে শুরু করে বাকি সবগুলো সেক্টরেই খেলোয়াড়দের ভিন্নতা নেই।

তাদের সঙ্গ দিতে নতুন করে সুযোগ পাচ্ছেন টম অ্যাবেল। এছাড়াও বিপিএলে কয়েক ম্যাচ খেলে যাওয়া ডাভিড মালানও রয়েছেন ইংল্যান্ড দলে। এই বছরই উপমহাদেশের মাটিতে বসতে চলেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ইংল্যান্ড দল নিশ্চয়ই চাইবে তাদের পূর্ণ প্রস্তুতিটা সেরে নিতে। সেই তাগিদ থেকেই দলের নিয়মিত খেলোয়াড়দের নিয়েই সিরিজ খেলতে এসেছে ইংল্যান্ড দল।

মেগা ইভেন্টের আগে নিজেদের একটি ইউনিটে পরিণত করবার প্রয়াশ সব দলের ভেতরই থাকে। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম নয় ইংল্যান্ডও। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ বেশ শক্ত এক প্রতিপক্ষ। আর ঘরের মাঠের বাড়তি সুবিধাও থাকবে টাইগারদের পক্ষে। এমন বৈরি পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের প্রস্তুতিটা হবে বেশ, সেটা আর বলার অপেক্ষা নিশ্চয়ই রাখে না।

বেশ একটা লড়াকু সিরিজের দেখা মিলতেই পারে বহুদিন বাদে। বছরের প্রথম সিরিজটা নিশ্চয়ই নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে চাইবে তামিম-সাকিবরা। কিন্তু কাজটা যে মোটেই সহজ হবে না। সময় দেবে সব সমীকরণের সঠিক উত্তর।

 

ওয়ানডে দল: জস বাটলার (অধিনায়ক), টম অ্যাবেল, রেহান মাহমুদ, মঈন আলী, জোফরা আর্চার, স্যাম কারান, সাকিব মাহমুদ, ডেভিড মালান, আদিল রশিদ, জেসন রয়, ফিল সল্ট, রিকি টপলি, জেমস ভিন্স, ক্রসি ওকস, মার্ক উড।

টি-টোয়েন্টি দল: জস বাটলার (অধিনায়ক), টম অ্যাবেল, রেহান মাহমুদ, মঈন আলী, জোফরা আর্চার, স্যাম কারান, বেন ডাকেট, ডেভিড মালান, আদিল রশিদ, ক্রিস জর্ডান, ফিল সল্ট, রিকি টপলি, জেমস ভিন্স, ক্রসি ওকস, মার্ক উড।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...