অধিনায়ক থেকে নায়ক নাসির

ছোট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার জন্য কাজটা সহজ ছিল না। মিরপুরের উইকেটে নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন ঢাকার ব্যাটারদের। নাসুম আহমেদ চার ওভার বল করে খরচ করেছেন মাত্র ২৩ রান। ফলে ১১৪ রানের টার্গেটে জিততেও বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে নাসিরদের।

গেল আসরে তিনি ছিলেনই না। এবার ফিরেই অধিনায়কত্ব করলেন। সেটা প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তও বটে। আর সেই নাসির হোসেনই এবার জয়েরও নায়ক। মিরপুরে তাঁর হারানো দিনের মত ম্যাচটা শেষ করেই মাঠ ছাড়লেন অধিনায়ক থেকে নায়ক বনে যাওয়া নাসির হোসেন।

বিপিএলের নবম আসরের দ্বিতীয় দিনের খেলায় আজ মুখোমুখি হয়েছিল খুলনা টাইগার্স ও ঢাকা ডোমিনেটর্স। প্রথম দিনের মত আজও দিনের প্রথম খেলায় রানের দেখা মেলেনি। বিশেষ করে আগে ব্যাট করা দলের জন্য রান করাটা যেন ভীষণ কঠিন এক কাজ হয়ে ওঠে। বিপিএলে যারা চার ছয় দেখতে চান তাঁদের জন্য শুধুই থাকে হতাশা।

আজ টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয়েছে খুলনা টাইগার্সকে। যথারীতি তামিম ইকবাল, ইয়াসির আলি রাব্বিরা ব্যাট হাতে ভুগেছেন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। ওদিকে ঢাকার হয়ে নতুন বল হাতে দারুণ শুরু করেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া দুই স্পিনার আরাফাত সানি ও নাসির হোসেনও যোগ্য সঙ্গ দেন এই পেসারকে।

তাসকিন আহমেদ চার ওভার বল করে খরচ করেছেন মাত্র ১৪ রান। ওদিকে নাসির ও সানি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। মিডল ওভারে দারুণ বল করেছেন আরেক পেসার আল আমিন হোসেন। এই পেসার তুলে নিয়েছেন চার উইকেট। খরচ করেছেন মাত্র ২৮ রান। সব মিলিয়ে ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে খুলনা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি ঢাকার। কোন উইকেট না হারিয়েই পাওয়ার প্লে শেষ করেছিল তাঁরা। যদিও তাঁদের ওপেনার আহমেদ শেহজাদ রিটায়ার্ড হার্ট হয়েছিলেন। এরপর সৌম্য সরকারের আউট নিয়েও তৈরি হয় তর্ক বিতর্ক। মাঠেই আম্পায়ারের সাথে তর্কে জড়িয়ে যান তামিম ইকবাল। সব মিলিয়ে বিপিএলের দৈন্য দশা ফুটে ওঠে এখানেও।

ওদিকে ছোট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার জন্য কাজটা সহজ ছিল না। মিরপুরের উইকেটে নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন ঢাকার ব্যাটারদের। নাসুম আহমেদ চার ওভার বল করে খরচ করেছেন মাত্র ২৩ রান। ফলে ১১৪ রানের টার্গেটে জিততেও বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে নাসিরদের।

ঢাকার হয়ে বড় ইনিংস করতে পারেননি সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুনরা। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক নাসির হোসেন দায়িত্ব নেন দলকে জেতানোর। ম্যাচ জিততে শেষ চার ওভারে ঢাকার প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। তবে মিরপুরের উইকেটে সেটাও যেন বেশ কঠিনই মনে হচ্ছিল।

ওদিকে সতেরো তম ওভারে বাউন্ডারি লাইনে নাসিরের সহজ ক্যাচ মিস করেন শারজিল খান। তা না হলেও হয়তো ভিন্ন হতে পারত ম্যাচের চিত্র। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। ৩৬ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটার।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...