নাথান লিঁও, একালের সেরা?

এমন পারফর্ম করার পর এই অফ স্পিনার প্রশংসা কুড়িয়েছেন সবার। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা তো লিঁওকে তাঁর বিপক্ষে বোলিং করা বোলারদের মধ্যে সেরার স্বীকৃতি দিলেন। ভারতের মাটিতে লাল বলের ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৫৩ উইকেট শিকার করেছেন লিঁও। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের মধ্যে তো বটেই, ভারতের মাটিতে সফর করা যেকোনো বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এখন লিঁও।

ফাঁদ পাতা ছিল ঠিকঠাক মতোই। প্রথম দুই টেস্টের মত অস্ট্রেলিয়া সেই ফাঁদে পড়বে এমনটাই ছিল অনুমেয়। কিন্তু উল্টো সেই ফাঁদে নিজেরাই পড়লো ভারত। নাথান লিঁওর স্পিন ঘূর্ণির সামনে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়লো ভারতের বিখ্যাত ব্যাটিং লাইন আপ।

রোহিত, কোহলিরাও অসহায় ছিল লিঁওর স্পিনের সামনে। দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে আট উইকেট সহ ইন্দোর টেস্টে ১১ উইকেট শিকার এই অফ স্পিনারের।

সিরিজে টিকে থাকতে এই ম্যাচ জিততেই হতো অজিদের। এই ম্যাচ জিতে শুধু সিরিজেই ফেরেনি অজিরা, ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিজেদের জায়গাও পাকা করে ফেলেছে তারা।

আড়াই দিনেই শেষ হয়েছে ইন্দোর টেস্ট। দুই ইনিংসেই অজি স্পিনারদের সামনে অসহায় ছিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে তো লিঁও একাই নিয়েছেন ৬৪ রানে আট উইকেট। ম্যাচে ১১ উইকেট নেয়া লিঁও এখন বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

এমন পারফর্ম করার পর এই অফ স্পিনার প্রশংসা কুড়িয়েছেন সবার। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা তো লিঁওকে তাঁর বিপক্ষে বোলিং করা বোলারদের মধ্যে সেরার স্বীকৃতি দিলেন। ভারতের মাটিতে লাল বলের ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৫৩ উইকেট শিকার করেছেন লিঁও।

অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের মধ্যে তো বটেই, ভারতের মাটিতে সফর করা যে কোনো বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এখন লিঁও। ৫৪ উইকেট নিয়ে তাঁর ওপরে আছেন কেবল ইংল্যান্ডের ডিএল আন্ডারউড।

ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, ‘আমার মতে সে সেরা। আমি মুরালি অথবা শেন ওয়ার্নের মত বোলারদের খেলিনি। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বসেরা বোলারদের মধ্যে সম্ভবত সেই ভারতের মাটিতে খেলে যাওয়া বোলারদের মধ্যে নম্বর ওয়ান বোলার।’

লিঁওকে এমন স্বীকৃতি দেবার কারণও জানান রোহিত, ‘সে লাইন এবং লেন্থে দারুণ ধারাবাহিক। যখন আপনি এমন দুর্দান্ত ধারাবাহিক কারো বিপক্ষে খেলবেন তখন আপনি ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করতে চাইবেন তাঁর বিপক্ষে কারণ আপনি জানেন সে কোনো কিছুই সহজে করতে দেবে না। সম্ভবত ভারতের মাটিতে এটি তাঁর তৃতীয় সফর। তাঁর প্রথম সফরের সময় আমি ভারত দলের অংশ ছিলাম না কিন্তু আমি ম্যাচগুলো দেখেছিলাম। সে অনেক অভিজ্ঞ বোলার এবং সে মার খাবার ভয় পায় না। এটি দলের অধিনায়ককে অনেক আত্মবিশ্বাস দেয় কারণ সে জানে তাঁর এমন একজন বোলার আছে যে বলকে এমন জায়গায় পিচ করাতে জানে সে পিচ করানোর পর পিচই বাকি কাজটুকু করবে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...