ডিআরএস বা ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের অদ্ভুত সব নিয়ম দেখা যায় বাংলাদেশের সৌজন্যে। এবার যেমন ডিআরএস থাকল, কিন্তু যান্ত্রিক বিভ্রাটে হক-আই বা বল ট্র্যাকিং সিস্টেমের দেখা মিলল না মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বল। উইয়ান মুল্ডারের বল গিয়ে লাগে মুমিনুল হক সৌরভের পায়ে। প্রোটিয়াদের জোড়ালো আবেদনের পরও আম্পায়ার নট আউটের সিদ্ধান্ত জানান। ডিআরেএসের দ্বারস্থ হন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।
প্রোটিয়া দল ছিল আত্মবিশ্বাসী। রিভিউয়ের শুরুতে নিয়ম অনুযায়ী আল্ট্রা-এজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যাটে বল লেগেছে কি না সেটি দেখা হয়। বল মুমিনুলের ব্যাটে লাগেনি বলেই দেখা যায়। এরপর রীতি অনুযায়ী বল ট্র্যাকিং সিস্টেমে দেখার কথা বলের পিচিং, ইম্প্যাক্ট ও স্টাম্পে হিট করছে কি না। কিন্তু এর কিছুই দেখা সম্ভব হয়নি।
খালি চোখে দেখেই তৃতীয় আম্পায়ার জানিয়ে দেন, মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্তই যেন বহাল থাকে। নিতান্ত ভদ্রলোক বলেই দক্ষিণ আফ্রিকানরা খুব বেশি উচ্চবাচ্য করেননি। তবে, আসলে তাঁদের আপত্তি জানানোর যথেষ্ট কারণ আছে। ওই ডিআরএসেরে সময় মিরপুরের ইন্টারনেট ডাউন ছিল। পাড়ার ক্রিকেট না, আন্তর্জাতিক ম্যাচের ঘটনা।
শুধু তৃতীয় আম্পায়ার নয়, ড্রেসিংরুমেও তখন ইন্টারনেট ছিল না। প্রেস বক্সেও ইন্টারনেট সেবা পনেরো মিনিটের জন্য বন্ধ ছিল। যদিও, মুমিনুল বেশিক্ষণ টিকেননি। একটা চার হাঁকিয়ে পরের বলেই বিদায় নেন ওই ওভারেই, উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। মোটে ছয় বল স্থায়ী হয় মুমিনুলের ইনিংস!