গত মৌসুমে ইনজুরি আক্রান্ত আর্চারকে আট কোটি রুপিতে কিনে বেশ চমক দেখিয়েছিলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। নিলামের সময়ই জানা ছিলো মৌসুমের পুরোটাই মিস করবেন আর্চার, তবুও মেগা নিলাম থেকে পরের বছর গুলোর জন্য তাঁর সার্ভিস নিশ্চিত করেছিলো মুম্বাই।
কিন্তু মুম্বাইয়ের সেই আশায় গুড়ে বালি। চলতি মৌসুমে মাত্র পাঁচ ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরে গেছেন এই পেসার। এই পাঁচ ম্যাচেও যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স আর্চারের।
জাসপ্রিত বুমরাহ ইনজুরির কারণে এবারের আইপিএল খেলতে পারেননি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পেস বোলিং ইউনিটের নেতৃত্ব তাই ছিলো আর্চারের হাতে। কিন্তু মুম্বাইকে নিজে সামর্থ্যের ছিটেফোঁটাও দিতে পারেননি আর্চার। পাঁচ ম্যাচে মাত্র দুই উইকেট শিকারের চেয়েও আর্চারের অতি খরুচে বোলিংটা অনেক ম্যাচেই হারের কারণ হয়েছে মুম্বাইয়ের জন্য।
প্রায় প্রতি ম্যাচেই খরুচে ছিলেন আর্চার। ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার তাই বেশ চটেছেন আর্চারের ওপর। বাজে বোলিংয়ের চেয়েও গাভাস্কারের বেশি নজরে এসেছে আর্চারের দলের প্রতি নিবেদন।
নিজের দল মুম্বাইয়ের প্রতি আর্চারের নিবদনের ঘাটতি দেখছেন গাভাস্কার। গাভাস্কার তাই মনে করেন, আর্চারের মত ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের কানাকড়িও দেয়া উচিত হবে না।
গাভাস্কার বলেন,আর্চারকে দলে নিয়ে মুম্বাইয়ের কী লাভ হলো? গত বছর তার ইনজুরি থাকলেও মুম্বাই দলে নিয়েছিল এই আশায় যে, চলতি আসরে তাকে পাওয়া যাবে। কিন্তু কখনও ১০০ শতাংশ সুস্থ মনে হয়নি আর্চারকে।
সেটা বোঝা যায় আর্চার দলে আসার পর। টুর্নামেন্টের মাঝপথে নিজেদের দেশের বোর্ডের কথা শুনে চিকিৎসার জন্য সে চলেও গেছে। অর্থাৎ পুরো সুস্থ না হয়েই আইপিএল খেলতে এসেছিল আর্চার। মুম্বাই দলের প্রতি দায়বদ্ধ থাকলে আর্চার কখনও চলে যেত না।’
গাভাস্কার আরো বলেন,‘মুম্বাই ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে জাতীয় দলের চেয়েও বেশি টাকা দেয়। তারপরেও দলের টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার আগেই সে চলে গেল! এমন ক্রিকেটারদের এক টাকাও উচিত নয়। যত বড়ই নাম হোক না কেন, সেই ক্রিকেটারের পুরো টুর্নামেন্ট খেলা উচিত।’
‘একজন ক্রিকেটারের কাছে সুযোগ আছে দেশ এবং আইপিএলের মধ্যে একটা বেছে নেওয়ার। কেউ দেশকে বেছে নিতেই পারে। কিন্তু যদি আইপিএল খেলার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কোনো অজুহাত দিয়ে পরে আসা বা আগে চলে যাওয়া উচিত নয়।’, যোগ করেন তিনি।