২০১৯ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ একরকম বিধ্বস্ত করে দিয়েছিলেন রশিদ খান। এবার মিরপুর টেস্টের আফগানিস্তান দলে নেই এই লেগ স্পিনার।
চোটের কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে রশিদ খেলতে পারেননি। আজকের ম্যাচে ফিরেছেন অবশ্য। তবে হতে পারে, টেস্ট খেলার মতো অবস্থায় নেই তিনি।
মুজিব-উর-রহমান তো সেই ২০১৮ সালে একটি টেস্ট খেলেছিলেন। মূলত সাদা বলেই খেলেন। মোহাম্মদ নবি অবসরে। স্পিন-পেস মিলিয়েই আফগানিস্তানে বোলিং আক্রমণ এবার একদমই অনভিজ্ঞ।
স্পিনে থাকছেন বাঁহাতি স্পিনার আমির হামজা হোতাক, চায়নাম্যান জাহির খান এবং এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না খেলা ১৯ বছর বয়সী লেগ স্পিনার ইজহারুলহক নাভিদ।
পেস বোলিংয়ে ইয়ামিন আহমাদজাই আছেন। আফগানিস্তানের ৬ টেস্টের ৫টিই খেলেছেন তিনি। সঙ্গে আছেন কখনও টেস্ট না খেলা করিম জানাত, নিজাত মাসৌদ ও একদমই আনকোরা ইব্রাহিম আব্দুলরাহিমজাই।
আফগানিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ঝড় তোলা ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান বাহির শাহ আছেন দলে। প্রথম শ্রেণিতে অভিষেকে ২৫৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত ৩৩ ম্যাচ খেলে একটি ট্রিপল সেঞ্চুরিসহ ৯ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি, ব্যাটিং গড় ৬৫.২০। আফগানদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের মান অবশ্য বেশ নাজুক।
যাই হোক, এই দলের সঙ্গে জয় তো বটেই, বাংলাদেশ দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়ে জিততে না পারলে সেটিই হবে হতাশার।
- বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তান টেস্ট দল
হাশমতউল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), রহমত শাহ (সহ-অধিনায়ক), আফসার জাজাই, ইকরাম আলিখিল, ইব্রাহিম জাদরান, আব্দুল মালিক, বাহির শাহ, নাসির জামাল, করিম জানাত, জাহির খান, ইজহারুলহক নাভিদ, আমির হামজা হোতাক, ইব্রাহিম আব্দুলরাহিমজাই, ইয়ামিন আহমাদজাই, নিজাদ মাসৌদ।
– ফেসবুক থেকে