অধিনায়ক সাকিবের ‘অধিনায়কসুলভ’ দিন

প্রতিপক্ষ যতই টেস্টের সবচেয়ে খর্বশক্তির দল হোক না কেন - কোনো ঝুঁকিই যেন নিতে নারাজ দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যদিও, মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট শুরুর আগের দিন সাকিবকে খুব একটা অধিনায়কের ভূমিকাতে দেখাই গেল না।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একটু সদয় হলেই হয়ত, এই সময়টা তিনি থাকতেন ভারতে। ব্যস্ত থাকতেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলতে। তবে, বাস্তবতাটা ভিন্ন। সাকিব আল হাসানকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে হবে টেস্ট ম্যাচ। তিনি দলের অধিনায়ক বলে কথা।

প্রতিপক্ষ যতই টেস্টের সবচেয়ে খর্বশক্তির দল হোক না কেন – কোনো ঝুঁকিই যেন নিতে নারাজ দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যদিও, মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট শুরুর আগের দিন সাকিবকে খুব একটা অধিনায়কের ভূমিকাতে দেখাই গেল না।

সাকিব দলের সাথেই মাঠে আসেন। শুরু করেন গা গরমের ফুটবল দিয়ে। একটা গোলও দেন। সাকিব বেশ চনমনেই ছিলেন। তবে, এই ফুটবলেই আসলে সাকিবের অনুশীলন কার্যত শেষ। এরপর আর প্রচলিত অনুশীলন করেননি তিনি।

এরপর অবশ্য কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহের সাথে গেলেন ইনডোরের মাঠে। সেখানে হয়তো কালকের ম্যাচের রণকৌশলটাও সাজিয়ে নিলেন দু’জন। বাকিরা একে একে এসে ইনডোরের নেটে ব্যাটিং ও বোলিং শুরু করেন। সাকিব একদমই ব্যাট বা বল হাতে নেননি।

এমনকি টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে যে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক আসার একটা অলিখিত নিয়ম ছিল – সেখানেও ছেদ পড়ে এদিন। অধিনায়কের জায়গায় আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সাকিব অবশ্য অনুশীলন কিংবা প্রেস কনফারেন্সে তেমন একটা অংশ না নিলেও দলের সাথেই ছিলেন পুরোটা সময়।

অধিনায়কের ‘বদলী’ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এসে স্পোর্টিং উইকেটেরই প্রত্যাশা করে গেলেন মিরাজ। বললেন, ‘যেহেতু ঘরের মাঠে খেলা, আমরা স্পিনাররা এখানে ভালো করি। কিন্তু সুযোগ পেসারদেরও থাকবে। উইকেটটা আমরা দেখেছি। ভালো উইকেট করার চেষ্টা করা হয়েছে যেন সবাই ভালো করতে পারে। যেন আমরা সত্যিকারের টেস্ট ক্রিকেটটা খেলতে পারি। পেস বোলিং বলেন, স্পিন বোলিং বলেন—সে রকম দলই সাজানো হচ্ছে।’

মিরাজ জানালেন আয়ারল্যান্ডকে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বরং, নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলতে চায় বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, বড় দলের চেয়ে ছোট দলের বিপক্ষে খেলতে গেলে ফোকাসটা বেশি থাকে। আপনি যদি ভারত বা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০০ করেন, সেটি কিন্তু ১০০-ই থাকবে। পরিসংখ্যান কিন্তু পরিবর্তন হবে না। সুতরাং দিনশেষে এটিতেই আমরা গুরুত্ব দিই। এক নম্বর টিমের সঙ্গে খেললে যে ফিলিংস কাজ করে, দশ নম্বর টিমের সঙ্গে খেললেও আমাদের একই ফিলিংস কাজ করে। মূল কথা হলো, ফল কী আসছে। আমাদের কাজ আগে করতে হবে, পরে অন্য হিসাব। আমরা হারলে কী হবে, এগুলো নিয়ে না ভেবে বর্তমান নিয়ে থাকার চেষ্টা করি। আমরা আমাদের কাজটা করতে চাই।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...