তাঁরাও ছিলেন অ্যান্ডারসনের সতীর্থ!

জেমস অ্যান্ডারসনের অভিষেক হয়েছিল ২০০২ সালে, মাত্র ১৯ বছর বয়সে। আর তারপর থেকে সগৌরবে চেরি বলের খেলা দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সাদা পোশাকে তিনি এখন এতটাই অপ্রতিরোধ্য যে কন্ডিশন তাঁর খেলাতে প্রভাব রাখতে পারছে খুবই কম। যে বয়সে চেরি বলটা লকারে তুলে রাখে অনেকে, সে বয়সেও ভারতের মাটিতে কি দুর্দান্ত এক স্পেলই না তিনি করলেন কিছুদিন আগে।

আরো পড়ুন

আমরা আজকে কথা বলব এমন কিছু ক্রিকেটারদের নিয়ে যাদের সাথে অ্যান্ডারসন খেলেছেন – কিন্তু তিনি তো অনেকের সাথেই খেলেছেন! আসলে সবচেয়ে বেশি বয়সী কয়েকজনকে নিয়ে কথা বলব আমরা।

  • অ্যালেক স্টুয়ার্ট – প্রায় ৫৮ বছর 

অ্যালেক স্টুয়ার্ট ছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটের ক্ষুরধার অধিনায়ক। শুধু ব্যাট বা বল হাতে নয়, নিজের মস্তিষ্ক দিয়েই ব্যাবধান গড়ে দিতে পারতেন তিনি। অ্যালেক স্টুয়ার্টের অভিষেক হয় ১৯৮৯ সালে, যখন অ্যান্ডারসনের বয়স মাত্র সাত বছর। নিজের অভিষেকের দিনে যার বয়স সাত বছর, তাঁর সাথে অ্যালেক স্টুয়ার্ট খেলেছেন ২১ ম্যাচ। নিশ্চিতভাবেই, কিংবদন্তী এই ক্রিকেটারের সাহচর্য কাজে দিয়েছে অ্যান্ডারসনের।

  • নাসের হুসেইন – ৫২ বছর

নাসের হুসেইনকে অ্যান্ডারসন সহসাই ভুলবেন না। জিমির অভিষেকটা হয়েছিলই এই নাসেরের অধিনায়কত্বে। ২০০২ সালে অধিনায়ক থাকলেও ২০০৪ সালে অবশ্য বুটজোড়া তুলে রেখে দিয়েছেন তিনি। সে যা হোক, প্রবল অস্ট্রেলিয়ার সামনে ১৯ বছরের অ্যান্ডারসনকে অভিষেক করিয়ে নাসের যে দুর্দান্ত সাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন তা তো আর বলে দিতে হবে না।

  • অ্যান্ডি ক্যাডিক – ৫২ বছর

ইংলিশ ফাস্ট বোলিং এর আলোর মশালধারীদের একজন অ্যান্ডি ক্যাডিক। দুর্দান্ত বোলিংই শুধু না, বিচিত্র বোলিং অ্যাকশনের কারণেও মানুষ মনে রেখেছে তাকে। তবে পাকিস্তানের সাথে কেপ টাউনের সে ম্যাচে, বোলিং করার সময় ক্যাডিক দেখলেন তাঁর সাথে জুটি বেঁধে বল করা বোলারটির বয়স তাঁর চাইতে ১৪ বছর কম! বোলিং জুটির এই বয়সের পার্থক্য অবশ্য খুব বেশি সমস্যা তৈরি করেনি, অ্যান্ডারসন সে ম্যাচে ৪ উইকেট নেয় যার মধ্যে ছিলেন- সাঈদ আনোয়ার, ইনজামাম-উল-হক, মোহাম্মদ ইউসুফ এবং রশিদ লতিফ।

  • মার্টিন বিকনেল – প্রায় ৫২ বছর 

মার্টিন বিকনেলের ইংলিশ জার্সিতে অভিষেক হয় ১৯৯০ সালে, অ্যান্ডারসনের বয়স যখন মাত্র ৮ বছর । তবে অভিষেকের পর খুব কম সময়ই দলে নিয়মিত হতে পেরেছিলেন বিকনেল। কিন্তু, তাই বলে দল থেকে বাদ পড়ে হাল ছেড়ে দেননি। চেষ্টা চালিয়ে গেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেছেন। আর এরপর ২০০৩ সালে আবার যখন দলে ফিরলেন, অ্যান্ডারসনের ততদিনে অভিষেক হয়ে গেছে। ২১ বছর বয়সী অ্যান্ডারসনের সাথে নতুন বল হাতে নেওয়া বিকনেলের বয়স তখন ৩৪ বছর!

  • শন উডাল – ৫২ বছর

অভিষেক হয়েছিল ১৯৯৪ সালে, তবে শন উডাল দল থেকে বাদ পড়ার প্রায় এক দশক পড় আবার ফিরে এসেছিলেন। ছিলেন ডানহাতি অফ ব্রেক স্পিনার, স্পিনের জন্যেই হয়তো ইংল্যান্ডের ভারত আর পাকিস্তান সফরে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। শন উডাল মুম্বাইয়ে নিজের শেষ ম্যাচ খেলার দিন অ্যান্ডারসন ৪০ বলের খরচায় নিয়েছিলেন ৪ উইকেট!

লেখক পরিচিতি

আদ্যোপান্ত স্টোরিটেলার!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link