একটা স্পেল। একটা স্পেলে সুনীল নারাইন বদলে দিতে পারেন সকল সমীকরণ। রহস্য স্পিনে তিনি নাকানিচুবানি খাওয়াতে পারেন যে কাওকে। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে যেই ব্যাটারই মাথা তুলে দাঁড়াতে চেয়েছেন, তাকেই তিনি সম্মোহিত করেছেন তার স্পিন জাদুতে। এক লহমায় তিনি দিল্লির হাতে থাকা জয়কে টেনে নিয়ে এসেছেন নিজ দলের পক্ষে।
১৪ ও ১৬তম ওভারে তার হাতে বল তুলে দেওয়া হয়। তখনও চালকের আসরে দিল্লি ক্যাপিটালস। অক্ষর প্যাটেল দেদারছে রান তুলে যাচ্ছেন, একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা ফাফ ডু প্লেসিও এদিন ফিরলেন নিজের চেনা রুপে। অর্ধশতক এসেছে তার ব্যাট থেকে। এই দুই জনের ব্যাটে চেপে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর খোয়াব দেখেছে দিল্লি।
কিন্তু সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করতে নারাইনয়ের প্রয়োজন হয়েছে স্রেফ সাত বল। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি তুলে নেন অক্ষর প্যাটেলের উইকেট। সেই ওভারের শেষ বলে ট্রিস্টান স্টাবসও পরিণত হয়েছেন নারাইনের দ্বিতীয় উইকেটে।
এরপর কলকাতা নাইট রাইডার্সের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কেবল ফাফ ডু প্লেসি। তাকেও ফেরাতে হবে প্যাভিলিয়নে। বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধতে এবারও এগিয়ে এলেন নারাইন। সুপরিকল্পতি ফাঁদে আটকে ফেলেন ফাফ ডু প্লেসির মত অভিজ্ঞ ব্যাটারকে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই তিন উইকেটের পতনেই ম্যাচ ভাগ্য ঝুলে যায় কলকাতার দিকে। এর আগে অবশ্য ব্যাট হাতেও খানিকটা আগ্রাসন দেখিয়েছেন নারাইন। ১৬ বলে ২৭ করেছেন ১৬৮ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়া কলকাতার ২০৪ রানের সংগ্রহে প্রায় সমান অংশিদারিত্ব রয়েছে নারাইনের।
ব্যাটে-বলে একটা উজ্জ্বল দিন পার করলেন নারাইন। বলতে গেলে একাহাতে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিলেন এই ক্যারিবিয়ান স্পিনার। ঠিক এ কারণেই হয়ত, বয়স বাড়লেও নারাইনদের কদর কমে না। শরীর ক্লান্ত হলেও দলগুলোর চাহিদার শীর্ষে থাকেন নারাইনরা।