অঘটন ঘটাতে পারেনি নেদারল্যান্ডস

না, আশা জাগিয়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হলো না নেদারল্যান্ডসের। অনেকটা সময় সমানে সমানে লড়েও শেষমেশ পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানেই হারতে হয়েছে তাঁদের।

না, আশা জাগিয়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হলো না নেদারল্যান্ডসের। অনেকটা সময় সমানে সমানে লড়েও শেষমেশ পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানেই হারতে হয়েছে তাঁদের। ৮১ রান দূরে থাকতেই সবকয়টি ব্যাটার ফিরেছেন সাজ ঘরে, ফলে বিশ্বকে চমকে দেয়া আপাতত হলো না কমলা দলের জন্য।

টসে জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে কোন আপস করেননি বোলাররা, শুরুতেই ফখর জামানকে আউট করেন লোগান ভ্যান বিক। স্থায়ী হতে পারেননি বাবর আজম, কয়েক বল পরে বিদায় নেন ইমাম উল হকও। পাওয়ার প্লেতেই টপ অর্ডারকে হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি।

তবে চাপকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাহসী ব্যাটিং শুরু করেন তরুণ সৌধ শাকিল, তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান, মাত্র ৩২ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ ফিফটি তুলে নেন শাকিল, তাঁর দেখানো পথে হাঁটেন রিজওয়ানও।

১২০ রানের জুটি ভেঙে ডাচদের ব্রেক থ্রু এনে দেন আয়ান দত্ত। এরপরই পাক শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন বাস ডি লিড। ১৫৮/৩ থেকে ১৮৮/৬ এ পরিণত হয় বাবর আজমদের স্কোরকার্ড। অবশ্য শাদাব খান এবং মোহাম্মদ নওয়াজের দৃঢ়তায় শেষপর্যন্ত ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুজি পেয়েছে; তবে লোয়ার অর্ডারের অবদানও রয়েছে।

২৮৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা। হাসান আলীর বলে ম্যাক্স ও’ডউডের আউট গয়া বাদ দিলে পুরো পাওয়ার প্লে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করেছেন বিক্রমজিৎ, আকারম্যান।

বারোতম ওভারে অবশ্য ইফতেখার আহমেদ তুলে নেন আকারম্যানের উইকেট, তবু নেদারল্যান্ডসকে চাপে রাখা যায়নি। উল্টো বিক্রমাজিৎ আর ডি লিডের দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পায় দলটি। ৬৫ বলে হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন ডাচ ওপেনার, কিন্তু এরপরই শাদাব খানের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি।

কয়েক ওভারের ব্যবধানে আরো দুই ব্যাটসম্যানকে হারালে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। একা একা খানিকটা লড়াই করেছেন ডি লিড, তবে সেটা ফলপ্রসূ হয়নি।

পাকিস্তানি বোলাররা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেয়ায় বেশিদূর যেতে পারেনি ডাচরা। একের পর এক উইকেট হারিয়ে শেষপর্যন্ত ২০৫ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে আইসিসির সহযোগী সদস্যরা।

আর তাতে অনুমিতভাবেই বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। উদ্বোধনী ম্যাচেই এমন জয় নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপে ভাল কিছু করার দৌড়ে এগিয়ে রাখবে তাদের। তবে নেদারল্যান্ডসও লড়াই করার রসদ পাবে হয়তো।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...