রেকর্ডের ঝর্ণাধারা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাদ পড়ার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে সিরিজ জয়। সব মিলিয়ে বেশ দুর্দান্ত ফর্মেই ছিলো পাকিস্তান। এরপরের লক্ষ্যটা ছিলো ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এই ফরম্যাটে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছে পাকিস্তান। এই জয়ের মধ্য দিয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়েছে পাকিস্তান দল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাদ পড়ার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে সিরিজ জয়। সব মিলিয়ে বেশ দুর্দান্ত ফর্মেই ছিলো পাকিস্তান। এরপরের লক্ষ্যটা ছিলো ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এই ফরম্যাটে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছে পাকিস্তান। এই জয়ের মধ্য দিয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়েছে পাকিস্তান দল।

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় দিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত ১৮ টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এক বছরে যেকোনো দলের সর্বোচ্চ ম্যাচ জয় এটি। প্রথম দল হিসেবেও এক ক্যালেন্ডার বছরে ১৮ টি-টোয়েন্টি জয়ের কীর্তি গড়েছে পাকিস্তান।

অবশ্য এখনো সিরিজের দুই ম্যাচ বাকি আছে। বাকি ম্যাচ গুলোতেও আধিপত্য ধরে রাখতে পারলে এই রেকর্ডে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেই রাখবে বাবর আজমের দল। এর আগের রেকর্ডটিও ছিল পাকিস্তানের নামেই।

এর আগে ২০১৮ সালে ১৭ টি-টোয়েন্টি জয়ে রেকর্ড গড়েছিলো পাকিস্তান দল। নিজেদের রেকর্ড ভেঙে আবার নতুন রেকর্ড গড়লো তাঁরা। ২০১৮ সালে ১৯ ম্যাচ খেলে ১৭ টিতেই জয় পেয়েছিলো পাকিস্তান। বলতে গেলে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সেটি ছিল পাকিস্তানের জন্য সেরা বছর।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২৭ ম্যাচ খেলে ১৮টিতে জয় পেয়েছে বাবর আজমরা। এ বছর আরো ২ টি-টোয়েন্টি খেলবেন তাঁরা। সুযোগ থাকছে প্রথম দল হিসেবে এক ক্যালেন্ডার বছরে ২০ ম্যাচ জয়ের।

চলতি বছর পাকিস্তানের পর সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৫ জয় নিয়ে এই তালিকার দুইয়ে আছে প্রোটিয়ারা। তবে চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকার আর কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না থাকায় এই রেকর্ড থাকছে পাকিস্তানের নামেই।

করাচিতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার আলির জোড়া ফিফটিতে ৬ উইকেটে ২০০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। তবে শূন্য রানেই ফিরেন বাবর আজম! চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ডাকের সংখ্যা ৪।

জবাবে লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও শাদাব খানের ম্যাজিকেল স্পেলে মাত্র ১৩৭ রানে গুড়িয়ে যায় সফরকারীরা। ওয়াসিম ৪ ও শাদাব খান শিকার করেন ৩ উইকেট। ৬৩ রানের বিশাল জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিক পাকিস্তান।

চলতি বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত দাপট দেখাচ্ছে পাকিস্তান। বাবর আজম, রিজওয়ান, শাহীন আফ্রিদি, শাদাব খানদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দলকে আরো শক্তিশালী করে তুলেছে। বাকি দুই ফরম্যাটে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে প্রায় লম্বা সময় ধরেই নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে পাকিস্তান।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...