২০১১ সালের মত আবারো বিশ্বকাপের সহ আয়োজক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ – ক্রিকেট ভিত্তিক জনপ্রিয় গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রকাশ করা এমন খবর রীতিমতো সোরগোল ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশে।
ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না বিধায় পাকিস্তানও ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে তাদের ম্যাচ গুলো খেলবে বাংলাদেশের মাটিতে এমনটাই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু দুই দিন না পেরোতেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজাম শেঠি জানালেন, বিশ্বকাপের ম্যাচ ভারতের বাইরে খেলা নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি আইসিসিতে।
এ বছরের অক্টোবরেই শুরু হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের। এর আগেই পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবার কথা এশিয়া কাপ। কিন্তু ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না তারা। ভারতের এমন অনঢ় অবস্থানে অসহায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তাই সামনে আসে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব। এই হাইব্রিড মডেল অনুযায়ী এশিয়া কাপ পাকিস্তানেই হবে, কিন্তু ভারতের ম্যাচ গুলো অনুষ্ঠিত হবে নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে।
গত ৩০ মার্চ একটি প্রতিবেদনে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানায়, এশিয়া কাপের মত বিশ্বকাপও অনুষ্ঠিত হতে পারে হাইব্রিড মডেলে। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ম্যাচ গুলো বাংলাদেশের মাটিতেই হবার সম্ভাবনা বেশি। ওই প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, এই বিষয়ে আইসিসিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবও তুলেছে পাকিস্তান। ক্রিকইনফোর পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের আরো কিছু গণমাধ্যমও ফলাও করে ছেপেছিল এই খবর।
যদিও খবর প্রকাশের পরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই বিষয়ে কিছুই জানে না তারা। এমন ঘোলাটে পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান জানালো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বকাপের ম্যাচ ভারতে খেলা বা না খেলার বিষয়ে কোনো আলোচনাই করেনি তারা।
পিসিবির সেই বিজ্ঞপ্তিতে ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজাম শেঠিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘ভারতের ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের প্রস্তাব শুধু এসিসিতে চলমান। বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে আইসিসি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কোনো কথাই আমি বলিনি। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আইসিসির কোনো ফোরামেও আলাপ ওঠেনি।’
বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলা নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা ভুল উপস্থাপন হয়েছে বলেও জানানো হয় সেই বিজ্ঞপ্তিতে।
১২ বছর আগে উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সহ আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। ক্রিকইনফোর সংবাদে আবারো ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপে ম্যাচ দেখা আশা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের সমর্থকদের। তবে পিসিবির এমন প্রেস রিলিজে সব গুঞ্জনের এক প্রকার অবসানই ঘটলো বলা যায়।