করোনার প্রথম ধাপ পিছনে ফেলে যখন দেশের ক্রীড়াঙ্গন সরব হতে যাচ্ছে ঠিক তখনই দেশে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ধাপ। করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়াতে আজ থেকে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের লকডাউন। ১১ এপ্রিল প্রথম পর্যায়ের লকডাউন শেষে এটার মেয়াদ আরো বাড়তে পারে।
আর এই লকডাউনের কারণে শঙ্কায় পড়েছে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বাংলাদেশ সফর। চলতি মাসের ১২ তারিখে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে চারটি ওয়ানডে ও একটি চার দিনের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে পাকিস্তানের যুবাদের।
কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন খেলা ৭১-কে জানিয়েছেন দেশের করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে আসতে পারছে না পাকিস্তান। কারণ এই সফরের জন্য এখন সরকারের অনুমতি নিতে হবে বিসিবিকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ওদের আনার জন্য। এখানে সরকারি অনুমোদনের ব্যাপার আছে। এটা ক্লিয়ার হোক। কিন্তু আমরা শতভাগ চেস্টা করছি ওদের আনার জন্য। যদি ১২ তারিখে নাও পারি, একটু পিছিয়ে হলেও ১৬-১৭ তারিখের দিকে দেখি আনতে পারি কিনা। সরকারের অনুমোদনের জন্য চেস্টা করা হচ্ছে।’
শতভাগ চেস্টা করলেও সিরিজটি অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই বোর্ড পরিচালক। খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন সিরিজ বাতিলের সম্ভবনাই বেশী; তবে সিদান্ত নিতে চান দুই বোর্ড আলোচনা করেই।
তিনি বলেন, ‘সিরিজ নিয়ে শঙ্কা আছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে এই মূহুর্তে সিরিজটি মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। আমাদের ম্যানেজার ওদের সাথে যোগাযোগ করছে। কিন্তু বাতিলের আগে দুই বোর্ডই এই বিষয়ে আলোচনা করবে।’
ইতোমধ্যে করোনার কারণে দুই রাউন্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২২তম আসর। করোনা পরিস্তিতির কারণে শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরও।
গত বছর কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে স্থগিত হয়ে যাওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি টেস্ট খেলতে আগামী ১২ এপ্রিল শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্তিতির কারণে শ্রীলঙ্কা কোয়ারেন্টাইনের সীমা বৃদ্ধি করায় আবারো শঙ্কায় পড়েছে এই সিরিজটি।
করোনার প্রোকোপ বেড়েছে শ্রীলঙ্কাতেও। আর সে কারনেই শ্রীলঙ্কা তাদের কোয়ারেন্টাইনের নিয়মে পরিবর্তন এনে ৭ দিনের জায়গাতে ১৪ দিন করে বিসিবিকে প্রস্তাবও দিয়েছে। কিন্তু বিসিবির পক্ষ থেকে এখনো শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে কিছু জানানো হয়নি।