স্পিন ঘূর্ণিতে পাকিস্তানকে কাবু করার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু, বোর্ডে যথেষ্ট রান জমা না থাকায় সেই লড়াইটা করা হল না। ৪৬ বল বাকি থাকতে মাত্র এক উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে বিসবাহ মারুফের দল। টানা দ্বিতীয় জয় নিয়ে সেমিফাইনালের পথটা অনেকটাই সহজ করে ফেলল পাকিস্তান নারী ক্রিকেটের দল।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে মাত্র ৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান উদ্বোধনি জুটিতেই ৪৯ রান তোলে। ১৯ বলে ১৪ রান করে মুনিবা আলী আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার সিদরা আমিন ছিলেন অটল। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ করেন ১২ রান।
টপ অর্ডারের বিপর্যয় দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের ইনিংস। মাত্র তিন রানে হারাতে হয় তিন উইকেট। শামীমা সুলতানা, ফারজানা হক ও রুমানা আহমেদ মাত্র একটি করে রান তুলেই ফিরে যান সাজঘরে। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল আদৌ সেই অবস্থা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
দুই অংকের ঘরে পৌঁছান কেবল তিনজন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ১৭ ও লতা মন্ডল ১২ রান করেন। সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন নিজের ইনিংসটাকে শেষ অবধি টেনে নিয়ে যান। তিনি ২৯ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশ দল নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ৭০ রান সংগ্রহ করে।
সিলেটের আউটার স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া পাকিস্তানের জয়ের ক্ষেত্রটা বোলাররাই তৈরি করে দিয়েছেন। দু’টি করে উইকেট নেন ডায়ানা বেগ ও নিদা দার।
পাকিস্তানের সাথে হারের পর সেমিফাইনালের রাস্তাটা একটু কঠিন হয়ে গেল বাংলাদেশ দলের। আপাতত কয়েকটা দিনের বিশ্রাম পাচ্ছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। আসছে ছয় অক্টোবর তাঁদের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া। এরপর আরো খেলতে হবে শ্রীলঙ্কা, আরব আমিরাত ও ভারতের সাথে। সেখানে পা হড়কালে শেষ চারে যাওয়া কঠিন হবে।