পাকিস্তানের জয়, ফখর-বাবর ও এক পসলা বৃষ্টি

এই জয়ে এশিয়ান প্রতিনিধিদের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা বেড়েছে কয়েক গুণ। 

বৃষ্টি বাধায় পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ পুরোটা হয়নি, তবে বিনোদনের কমতি ছিল না দর্শকদের জন্য। লড়াইটা হয়েছে দুই দলের ব্যাটারদের মাঝেই, আর শেষমেশ জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। ফখর জামানের ৮১ বলে ১২৬ রানের টর্নেডো ইনিংসের কল্যাণে ডিএলএস মেথডে ২১ রানের জয় পেয়েছে তাঁরা।

টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাবর আজম। খানিক পরেই নিজের ভুল বুঝতে পারেন পাকিস্তান অধিনায়ক। দুই কিউই ওপেনার প্রথম দশ ওভারেই তোলেন ৬৬ রান। ১১তম ওভারে ডেভন কনওয়েকে আউট করে কিছুটা স্বস্তি এনে দেন হাসান আলী, কিন্তু সেই স্বস্তি টেকেনি বেশি সময়।

চোট থেকে ফেরা কেন উইলিয়ামসন আর ইনফর্ম রাচিন রবীন্দ্র বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেন। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৩০ ওভারের আগেই দলীয় ২০০ রানের গন্ডি পেরিয়ে যায় কিউইরা। যদিও দুর্ভাগা উইলিয়ামসন ৯৫ রানের মাথায় আউট হলে ভাঙে ১৮০ রানের জুটি। তিনি সেঞ্চুরি মিস করলেও তরুণ রবীন্দ্র ঠিকই তুলে নিয়েছেন এবারের আসরের তৃতীয় সেঞ্চুরি।

 

তবে বেশিদূর যেতে পারেননি তিনিও; ১০৮ রানেই থামতে হয়। তাতে অবশ্য তেমন সমস্যা হয়নি দলের; ড্যারেল মিশেল, মার্ক চ্যাপম্যানের সময়োপযোগী ইনিংসে বড় সংগ্রহের দিকে এগুতে থাকে তাঁরা। আর শেষদিকে গ্লেন ফিলিপসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪০২ রানের পাহাড়সম পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড।

বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। টিম সাউদির বলে বিদায় নেন আবদুল্লাহ শফিক; কিন্তু ফখর জামানের এতে থোড়াই কেয়ার, কিউই বোলারদের নির্মম ঝড় তোলেন তিনি। একের পর এক বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারিতে দলকে এগিয়ে নেন জয়ের পথে।

৩৯ বলেই তুলে নেন ফিফটি, এরপর হয়ে উঠেন আরো আগ্রাসী। এই ওপেনারকে যোগ্য সঙ্গ দেন অধিনায়ক বাবর। দুজনের জুটিতে মাত্র ২০ ওভারেই দলীয় ১৫০ রান পূর্ণ করে পাকিস্তান; ততক্ষণে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে যান ফখর, মাত্র ৬৩ বল প্রয়োজন হয়েছিল সেজন্য। আর এতেই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ড নিজের করে নেন। এর পাশাপাশি বাবরও পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির স্বাদ।

 

২২তম ওভারে নেমে আসে বৃষ্টি, এরপর খানিক বিরতি শেষে আবারো মাঠে নামেন খেলোয়াড়রা। তবে ছন্দপতন হয়নি পাক ব্যাটারদের; খুনে ব্যাটিংয়ে ২৫.৩ ওভারেই ২০০ জমা হয় স্কোরবোর্ডে। বৃষ্টির বাধায় এরপর আর খেলা না হওয়ায় পাকিস্তান জয় তুলে নেয় ২১ রানে। এই জয়ে এশিয়ান প্রতিনিধিদের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা বেড়েছে কয়েক গুণ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...