পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) কিংবা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) – যখন যেই ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলেছেন আজম খান সেখানেই পারফর্ম করেছেন সেরাটা দিয়ে। কিন্তু পাকিস্তানের জার্সি গায়ে উঠতেই ব্যাটিং ভুলতে বসেছেন তিনি, ধারাবাহিক ব্যর্থতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।
স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ঘিরে শুরু হয়েছে সমালোচনা; কেবল মাঠের পারফরম্যান্স নয়, তাঁর ফিটনেস নিয়েও কথা হচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গনে। বাদ যাননি দেশটির সাবেক তারকা মোহাম্মদ হাফিজও, ফিটনেসের ব্যাপারে তরুণ এই ব্যাটার কতটা উদাসীন সেটা জানিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সাবেক টিম ডিরেক্টর বলেন, ‘তাঁকে বলেছিলাম, পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট খেলতে চাইলে দুইটি কাজ করতে হবে। শারীরিক ভাবে সক্ষম হতে হবে, যেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুবই দরকার। দ্বিতীয়ত, সুযোগ পেলে ভাল খেলতেই হবে। তাছাড়া উইকেটকিপিং করার জন্য পরিশ্রম করতে হবে, কারণ সে ফিল্ডিং করতে পারত না।’
এই অলরাউন্ডার এরপর বলেন, ‘আজমকে ছয় সপ্তাহের একটা সূচি তৈরি করে দিয়েছিলাম ফিটনেসের উন্নতির জন্য। ফেরার পর দেখলাম, তাঁর শরীরের ওজন একই রকম রয়েছে। এর উপর আবার দৌড়ের গতি বাকিদের থেকে অর্ধেক হয়েছে। দলের বাকিরা যেখানে দুই কিলোমিটার দশ মিনিট মিনিটে দৌড়াতে পারে, সেখানে তাঁকে বিশ মিনিট ধরে দৌড়াতে হয়।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘সেজন্য তাঁকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেন সূচি মেনে কাজ করেনি? তাঁর কাছে কোনও উত্তর ছিল না। বলেছিল যে, সে নাকি চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি। এটা চূড়ান্ত অপেশাদারীত্ব।’
হাফিজের মতে, এই হার্ডহিটার আসলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত নয়। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে যেমন দায়বদ্ধতা, জেদ থাকতে হয় মনের মধ্যে; সেটা তাঁর নেই।