আত্মহননের পথ বেছে নিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় স্নুকার খেলোয়াড়, এশিয়ান অনূর্ধ্ব-২১ রৌপ্যপদক বিজয়ী মজিদ আলি। মজিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকস্তব্ধ পাকিস্তানের ক্রীড়ামহল সহ গোটা বিশ্ব। বৃহস্পতিবার তাঁর নিজের শহর পঞ্জাবের ফয়সালাবাদের কাছে সমুনদ্রীতে আত্মহত্যা করেন ২৯ বছর বয়সী মজিদ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মজিদ তাঁর খেলার দিন থেকেই বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। বয়স ছিল ২৯ বছর। কাঠ কাটার যন্ত্র ব্যবহার মজিদ নিজের জীবন শেষ করে দেন। তিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ইভেন্টে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। জাতীয় সার্কিটে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় ছিলেন।
গত একমাসে মৃত্যুবরণকারী দ্বিতীয় পাকিস্তানি স্নুকার খেলোয়াড় মজিদ। গত মাসে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় মারা যান মোহাম্মদ বিলাল নামের আরো এক স্নুকার।
মজিদের ভাই উমর বলেন, ‘মজিদ তার কিশোর বয়স থেকেই বিষণ্ণতায় ভুগছিল। সম্প্রতি সেটি বেড়ে যায়। তবে আমরা কখনই ভাবিনি মজিদ এভাবে নিজেকে শেষ করে দেবে।‘
পাকিস্তান বিলিয়ার্ডস অ্যান্ড স্নুকারের চেয়ারম্যান আলমগীর শেখ বলেন, ‘মজিদের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। ছোট থেকেই একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় ছিলেন মজিদ আলি। পাকিস্তানের তাঁর কাছ থেকে অনেক আশা ছিল।’
আলমগীর শেখ জানান, পরিবারে কোনও আর্থিক সমস্যা ছিল না তাঁর।
মুহম্মদ ইউসুফ এবং মুহাম্মাদ আসিফের মতো তারকারা বিশ্ব এবং এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জেতার পর স্নুকার পাকিস্তানে একটি জনপ্রিয় খেলায় পরিণত হয়েছে।
তাই মজিদের মৃত্যুতে শোকগ্রস্থ পুরো পাকিস্তান। একই সাথে তরুণদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় এই খেলোয়াড়ের এমন আত্মহনন বিস্মিতও করেছে পাকিস্তান জুড়ে সবাইকেই।