পাকিস্তানকে ছাড়াই এশিয়া কাপের নীতি নির্ধারণী বৈঠক

জম্পেশ এক ফাইনালের অপেক্ষাই হয়ত করছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। তবে সেই ফাইনাল ছাপিয়ে অন্দরমহলের এক বৈঠকেও থাকবে সকলের নজর।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৬ তম ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত। ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে গেছে ফাইনালে খেলা দুই দল। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে আয়োজক কমিটি। দেশ-বিদেশের নানান অতিথিদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানরাও।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়েছে গুজরাট টাইটান্স। টানা দ্বিতীয় বারের মত ফাইনালের টিকিট কেটেছে দলটি। অন্যদিকে, প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতেই ফাইনালে আগেভাগে পৌঁছে গিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস।

জম্পেশ এক ফাইনালের অপেক্ষাই হয়ত করছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। তবে সেই ফাইনাল ছাপিয়ে অন্দরমহলের এক বৈঠকেও থাকবে সকলের নজর। মূলত আসন্ন এশিয়া কাপের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করা ছাড়াও তাদেরকে নিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এশিয়া কাপের ভবিষ্যত নির্ভর করছে এই বৈঠকের উপর। মূলত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সেক্রেটারি জয় শাহ সবাইকে নিমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন। কেননা এশিয়া কাপ নিয়ে প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা ভারতের।

এই বিষয়ে জয় শাহ বলেন, ‘২৮ মে টাটা আইপিএল ২০২৩ এর ফাইনালে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। আমরা সেখানে এশিয়া কাপ বিষয়ক ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ করব।’

এশিয়া কাপে অংশ নেওয়া বড় দলগুলোর প্রধানকে আমন্ত্রণ জানালেও, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজাম শেঠি থাকছেন না এই আলোচনায়। অথচ মূল সমস্যা পাকিস্তান ও ভারতের মাঝেই। যদিও সেই সমস্যার সমাধান ইতোমধ্যেই দিয়ে রেখেছেন পিসিবি। হাইব্রিড মডেলের আওতাধীন দুইটি ভেন্যু ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে দেশটির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

যেখানে পাকিস্তানের একটি ভেন্যু ছাড়াও, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবুও ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের এবারের এশিয়া কাপে অংশ নেওয়া নিয়ে রয়েছে সংশয়। মূলত দুই দেশের ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণেই বেশ খানিকটা জলঘোলা হয়েছে।

এবারের এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্বভার ছিল পাকিস্তানের উপর ন্যাস্ত। পাকিস্তান নিজেদের ঘরের মাঠেই এই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে চেয়েছিল। যাতে করে ক্রিকেট বিশ্বে পাকিস্তানের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চলে যায় নির্বাসনে।

এরপর বহু প্রচেষ্টায় দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ দিয়ে পাকিস্তানে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মত দেশগুলো সেখানে সিরিজ খেলে এসেছে। তাইতো এবার তারা বহুদেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজনে মুখিয়ে ছিলেন। তবে ভারত তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করে পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার বিষয় সাফ মানা করে দিয়েছে।

 

সেখান থেকেই নানান রকমের জল্পনা-কল্পনার শুরু। ঘোলা জল পরিষ্কার হয়ে যাবে ২৮ মে’র পর। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সদস্য সহ, চার বোর্ডের বৈঠকের উপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...