বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচ জিতেও তাঁরা সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে অনেক আগে। পরিচিত কন্ডিশন আর ক্রিকেটারদের ফর্ম বিবেচনায় বড় স্বপ্ন নিয়েই ভারত এসেছিল দলটি কিন্তু স্বপ্ন এখন বাস্তবের আলোকবর্ষ দূর।
এমন ব্যর্থতা কেন, হঠাৎ কি হলো বাবর আজমদের; সেই উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দলের সিনিয়র এক ক্রিকেটার নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছেন নানান ষড়যন্ত্রের কথা। তাঁর বিশ্বাস, বোর্ড-ই চায়নি এই টুর্নামেন্টে দল ভাল করুক।
তিনি বলেন, ‘বোর্ড চেয়েছে পাকিস্তান ব্যর্থ হোক, তাঁরা চায়নি আমরা বিশ্বকাপ জিতি। শুধুমাত্র এই কারণে যাতে দলে ইচ্ছেমত পরিবর্তন আনা যায়; নেতৃত্ব ও স্কোয়াডের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেয়া যায়।’
এই ক্রিকেটার আরো যোগ করেন, ‘আমাদের ড্রেসিংরুমে যেসব দ্বন্দ্ব বা তর্ক-বিতর্ক হয়েছে সেগুলো সাধারণ; সব দলেই ঘটে। আমাদের সবার বয়স হয়েছে, আমরা এসব সামলে নেয়ার মত যথেষ্ট পরিপক্ব হয়েছি। তাই বাইরের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন নেই।’
অথচ তাঁদের অভ্যন্তরীণ আলোচনা প্রায়ই বাইরে চলে আসে, ফলে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচিত হতে হয় পাকিস্তান দলকে। আর এসব খেলোয়াড়দের প্রভাবিত করছেন বলে স্বীকার করেন উল্লেখ্য এই পাক তারকা। বিশেষ করে, সাবেক ক্রিকেটারদের বাজে মন্তব্য সতীর্থদের ওপর মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া এই অজ্ঞাত তারকা মনে করেন বাবর,শাদাবরা দৃঢ়চিত্তে পরিশ্রম করলেও পিসিবির কাছ থেকে যথাযথ সমর্থন পাচ্ছে না। তাঁর মতে, দলকে সাহায্য করার চেয়ে সমস্যা সৃষ্টি করার দিকেই বেশি মনোযোগী ক্রিকেট কর্তারা৷
সাম্প্রতিক সময়ে দল নির্বাচন নিয়ে পিসিবি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। সেটি নিয়েও বিরক্ত, ক্ষুব্ধ তিনি; বলেন, ‘পিসিবির এই বিজ্ঞপ্তি অপ্রয়োজনীয়। অধিনায়ক আর নির্বাচক স্কোয়াড ঠিক না করলে কে করবে? আমরা এখানে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছি, আর তাঁরা রাজনীতি করতে ব্যস্ত৷ কাদের বিপক্ষে আগে আমাদের লড়াই করা উচিত – বোর্ড নাকি প্রতিদ্বন্দ্বী দল?’
এই পাকিস্তানি আরো যোগ করেন, ‘নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য অনেক দিন থেকেই তাঁরা এসব করে আসছে। এগুলো করার পর আমি দেখতে চাই দেশে ফিরলে চেয়ারম্যান সাহেব কিভাবে আমাদের সামনে মুখ দেখায়। অবশ্য ততদিন পর্যন্ত তিনি চেয়ার ধরে রাখতে পারলে আরকি।’