বিশ্বকাপ প্রস্তুতির মঞ্চে ম্লান পেসাররা!

গোহাটির উইকেটে স্পিনারদের চেয়েই তুলনামূলক সুবিধা পান পেসাররা। বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট নিয়ে আশা জাগানিয়া সুর তাই লঙ্কান লড়াইয়ে প্রত্যাশা খানিকটা বাড়িয়েছিলই বটে। তবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির মঞ্চে এসে রীতিমত হতাশ করলো পেসাররা। 

গোহাটির উইকেটে স্পিনারদের চেয়েই তুলনামূলক সুবিধা পান পেসাররা। বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট নিয়ে আশা জাগানিয়া সুর তাই লঙ্কান লড়াইয়ে প্রত্যাশা খানিকটা বাড়িয়েছিলই বটে। তবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির মঞ্চে এসে রীতিমত হতাশ করলো পেসাররা।

বিশ্বকাপের মূল পর্বের আগে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে আজ গোহাটিতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে পারেন স্কোয়াডে থাকা ১৫ জনই। তাই পরখ করে নেওয়ার সুযোগ হয় এই মঞ্চেই। কিন্তু লঙ্কানদের বিপক্ষে সেই পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা।

তাসকিন যদিও বা কিপ্টে বোলিং করেছেন পুরো ম্যাচ জুড়ে। কিন্তু ছিলেন উইকেটশূন্য। এ ছাড়া অন্যান্য পেসাররা লঙ্কান ব্যাটারদের তোপের মুখে যেন কোন প্রতিরোধই গড়তে পারেননি। হাসান মাহমুদ থেকে শুরু করে তানজিম সাকিব, শরিফুলরা কেউই এ দিন নিজের চেনা ছন্দে বল করতে পারেননি।

তানজিম সাকিব, শরিফুল একটি করে উইকেট পেলেও লঙ্কান ব্যাটারদের সামনে ততটা স্বস্তিতে ছিলেন না তাঁরা। ৫.১ ওভারে ৩৩ রান খরচ করেন সাকিব। আর শরিফুল ৫ ওভারে দিয়েছেন ৩৫ রান।

এ দিকে দলের অন্যতম সেরা পেসার হাসান মাহমুদ যেন এ ম্যাচে ছিলেন নিজের ছায়ার মতো। উইকেট পাননি একটিও। রান দিয়েছেন দেদারসে। ৫ ওভার বোলিং করে এ পেসার হজম করেছেন ৪৪ রান।

চলতি বছরে একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীদের তালিকায় প্রথম ৪ টা নামই পেসারদের। বলাই বাহুল্য, বিশ্বকাপ জুড়ে তাসকিন, হাসান, শরিফুল, মুস্তাফিজদের দিয়েই প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের আটকে রাখার রণকৌশল থাকবে টিম ম্যানেজমেন্টের।

তবে বিশ্বকাপের আগে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে অবশ্য সেই ভাবনা কিছুটা বিফলেই গিয়েছে। পেসারদের ব্যর্থতার দিনে স্পিনাররা জ্বলে ওঠায় শ্রীলঙ্কাকে অবশ্য ২৬৩ রানে আটকে দেওয়া গেছে। দলের হয়ে মাহেদি হাসান সর্বোচ্চ ৩ টি উইকেট পেয়েছেন।

এ ছাড়া মিতব্যয়ী বোলিং করে লঙ্কান ব্যাটারদের শুরুর ঝড় থামিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ১০ ওভারে ৩২ রান খরচায় তিনি নিয়েছেন ১ টি উইকেট। আর নাসুম কিছুটা খরুচে থাকলে গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি।

কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ার অবশ্য এখনই কোনো কারণ নেই। পেসারদের জন্যও ‘ব্যাড ডে এট অফিস’ নিতান্তই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরুর আগে তেজদীপ্ত, আক্রমণাত্মক পেসারদেরই বোলিং আগ্রাসন দেখার অপেক্ষা গোটা বাংলাদেশ। তবে তাঁর জন্য পেসারদের পরের পরীক্ষার নাম ইংল্যান্ড। আগামী ২ অক্টোবর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...