ডেভন কনওয়ের আরো একটি দুর্দান্ত ইনিংসে জয়ের পথেই ছিলো চেন্নাই। তবে পাঞ্জাবের জয়টা এসেছে ছোট ছোট কিছু ইনিংসে। কনওয়ের ৯২ রানে ভর করে পাঞ্জাবকে দুইশো রানের টার্গেট দিয়েও ম্যাচ হারতে হয়েছে ধোনি জাদেজাদের। পাঞ্জাবের ব্যাটিং লাইনআপের প্রায় প্রত্যেকের ছোট ছোট অবদানের পর শেষ বলে সিকান্দার রাজার বিরত্বে চার উইকেটের দারুণ এক জয় পায় পাঞ্জাব কিংস।
চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতই চেন্নাইকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াদ ও ডেভন কনওয়ে। গায়কোয়াদ কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও পাঞ্জাবের বোলারদের ওপর চড়াও হয় কনওয়ে। চেন্নাইয়ের ৮৬ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙে ৩৭ রান করা গায়কোয়াদকে সিকান্দার রাজা আউট করলে।
তিন নম্বরে নেমে ঝড় তোলেন শিভম দুবেও। ১৭ বলে দুই ছয় ও এক চারে ২৮ রান করেন দুবে। অন্যপ্রান্তে মঈন আলি, রবীন্দ্র জাদেজারা আসা যাওয়ার মিছিলেনল থাকলেও এক প্রান্তে ঠিকই অবিচল ছিলেন কনওয়ে। টুর্নামেন্টে নিজের দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখে ৫২ বলে ১৬ চার ও এক ছক্কায় ৯২ রানে অপরাজিত থাকেন কনওয়ে। শেষ দিকে মাহেন্দ্র সিং ধোনির চার বলে দুই ছক্কার ১৩ রানের ক্যামিওতে চার উইকেটে ২০০ রানে থাকে চেন্নাইয়ের ইনিংস।
২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো সূচনা পায় পাঞ্জাব কিংসও। অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানকে নিয়ে ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন প্রবসিমরান সিং। পঞ্চম ওভারে তুষার দেশপান্ডের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৫ বলে ২৮ রান করা শিখর ধাওয়ান।
এরপরই রবীন্দ্র জাদেজার পরপর দুই ওভারে ফিরে যান প্রভসিমরান সিং ও অথর্ব তাইডে। তবে এরপরই পাঞ্জাবের হাল ধরেন দুই ইংলিশ রিক্রুট লিয়াম লিভিংস্টোন ও স্যাম কারান। ২৪ বলে চার ছক্কায় লিভিংস্টোন ৪০ রান করে তুষারের শিকার হন। এর পরপরই পাথিরানার বলে ফিরে যান ২৯ রান করা কারানও।
কারান আউট হবার পর হারের দিকেই যাচ্ছিলো পাঞ্জাব। তবে জিতেশ শর্মার ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও আবারো খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তবে আট নম্বরে নামা সিকান্দার রাজা পাঞ্জাবকে হারতে দেননি। শেষ বলে যখন তিন রান প্রয়োজন তখন সেই রান নিয়ে পাঞ্জাবকে টুর্নামেন্টে পঞ্চম জয় এনে দেন রাজা। ৭ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এই জয়ে নয় ম্যাচ শেষ ১০ পয়েন্ট এখন পাঞ্জাবের। সমান ম্যাচ শেষ ১০ পয়েন্ট চেন্নাই সুপার কিংসেরও।