ঢাকা মেট্রোকে হারিয়ে এনসিএল টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন রংপুর

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবার আলী আরও একবার নিজের জাত চেনালেন। তেমন কোন তারকাহীন দলটাকে নিয়েই দেখালেন কি অবিশ্বাস্য আধিপত্য! দুর্দান্ত ফিল্ডিং সেটআপ, বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং পরিবর্তনে ঢাকা মেট্রোতে আটকে দেন নামেমাত্র সংগ্রহেই।

ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য সবচেয়ে সবচেয়ে সম্মানজনক তিনটি টুর্নামেন্ট হল – ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং আইপিএল।

পাঁচটি বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে ব্রাজিলিয়ান প্রতিটা খেলোয়াড়ের অবদান থাকলেও পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন গোলদাতারা। যত নান্দনিক ফুটবল খেলাই হোক না কেন, খেলাটা আসলে তো গোলের। এখানে গোলটাই মুখ্য।

পরিপূর্ণ একজন ‘চার্মার’ ছিলেন তিনি, ছিলেন কার্যকর এক ক্রিকেটার। নব্বই দশকে তাঁর মত ড্যাশিং চরিত্র ভারতীয় ক্রিকেটে আর ছিল না। সমৃদ্ধ ব্যাটিং, দারুণ ফিল্ডিং – যতক্ষণ মাঠে থাকতেন মুগ্ধ করতেন।

তিনি ফিওরেন্টিনার ইতিহাসের ইতালিয়ান লিগের সর্বাধিক গোল করা খেলোয়াড়। তিনি ফ্লোরেন্সের মানুষদের মহানায়ক ছিলেন। তার সম্মানে ফ্লোরেন্সে একটি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়।

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই ব্যাটে-বলে রনি ছিলেন অনবদ্য। তার মূল কাজ ছিল বল হাতে। সেই দায়িত্ব পালন তিনি করেছেন যথাযথভাবেই। ১৩টি উইকেট বাগিয়েছেন আবু হায়দার রনি। এছাড়া তার ব্যাট থেকেও রান এসেছে, যা দলকে বহু ম্যাচে সহয়তা করেছে। ১২৩ রান করেছেন বাঁ-হাতি এই পেসার। দারুণ পারফরমেন্সের পুরষ্কার উঠেছে তার হাতে।

সাহারা কাপ – নব্বই দশকের ক্রিকেট ভক্তরা এই নামটার সাথে কমবেশি পরিচিত। কানাডার মাটিতে এই আসর বসতো। ক্রিকেটের খুব খর্ব শক্তির দেশে আয়োজিত এই আসর নিয়েও আলোচনার ঝড় ছিল – কারণ সেখানে মুখোমুখি হত খোদ ভারত আর পাকিস্তান দল।

শেষ অবধি সেই বিশ্বাসই মুগ্ধদের হাতে তুলে দিয়েছেন এনসিএল টি-টোয়েন্টির ট্রফি। ম্যাচ সেরা মুগ্ধও তাই উচ্ছ্বসিত। যেকোন শিরোপাই তো আনন্দের দোলা দিয়ে যায় হৃদয় জুড়ে।

ম্যাক অ্যালিস্টারের পরিবার স্কটল্যান্ডের গ্লেনকো এবং আয়ারল্যান্ডের ডোনাবেট থেকে অভিবাসিত। এই স্কটিশ-আইরিশ পরিচয় তার ব্যক্তিত্বে একটি বৈচিত্র্য এনেছে। যা তাকে দক্ষিণ আমেরিকার আবেগ এবং ইউরোপীয় শিকড়ের মিশ্রণে অনন্য করে তুলেছে।