লো স্কোরিং ম্যাচে রংপুরের জয়

প্রতিবারই রান বন্যা হয় বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে। দিনের প্রথম ম্যাচে রান উৎসব হলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই লো স্কোরিং ম্যাচ দেখলো চট্টলাবাসী। লো স্কোরিং ম্যাচ হলেও উত্তেজনার অভাব ছিলো না রংপুর-খুলনা ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত শোয়েব মালিকের ব্যাটে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রাইডার্সরা। ১৩০ রানের ছোট লক্ষ্যেও শেষ ওভারে গিয়ে চার উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নুরুল হাসান সোহানের দল।

প্রতিবারই রান বন্যা হয় বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে। দিনের প্রথম ম্যাচে রান উৎসব হলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই লো স্কোরিং ম্যাচ দেখলো চট্টলাবাসী। লো স্কোরিং ম্যাচ হলেও উত্তেজনার অভাব ছিলো না রংপুর-খুলনা ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত শোয়েব মালিকের ব্যাটে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রাইডার্সরা। ১৩০ রানের ছোট লক্ষ্যেও শেষ ওভারে গিয়ে চার উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নুরুল হাসান সোহানের দল।

শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো খুলনার ইনিংস গতি পায়নি কখনো। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় টাইগার্স। দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র এক রান করে আফগান পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকার হন তামিম ইকবাল।

এরপর আরেক ওপেনার শারজিল খান আর হাবিবুর রহমান সোহান দ্রুতই ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলে প্রবল চাপে তখন খুলনা। ওমরজাইয়ের দ্বিতীয় শিকার হয়ে শারজিল আর বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুলের শিকার হন সোহান। পাঁচ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮ রানের দল তখন খুলনা।

এরপর কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন অধিনায়ক ইয়াসির রাব্বি আর গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজম খান। ৪২ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামালদেন এই দুই ব্যাটার। কিন্তু সেট হয়েও ২২ বলে ২৫ রান করে রাব্বি আউট হলে আবারো চাপে খুলনা।

এরপর সাব্বির রহমানের পর আরেক সেট ব্যাটার আজম খানও ফিরে গেলে সেখানেই বড় স্কোরের স্বপ্ন শেষ হয় খুলনার। ২৩ বলের ৩৪ রান করে রাকিবুলের শিকার হন আজম। ৯১ রানে সাত উইকেট হারানোর পর শতরান পার করা নিয়েও শংকা সৃষ্টি হয়। শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ১৮ বলে ২২ রান করলে ১৯.৪ ওভারে ১৩০ রানে অলআউট হয় খালেদ মাহমুদ সুজন শিষ্যরা।

রংপুর বোলারদের মধ্যে সফল পেসার রবিউল হক। চার ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন এই ডানহাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

১৩১ রানে ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে রংপুর রাইডার্স। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান রনি তালুকদার। এরপর তিন নম্বরে নামা মাহেদি হাসান কিছুটা মারমুখি হবার চেষ্টা করলেও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি তাঁর ইনিংস। দুই বাউন্ডারিতে ১২ বলে ১৪ রান আউট হন এই অলরাউন্ডার। এরপর সায়েম আইয়ুব আর নাইম শেখও দ্রুত ফিরে গেলে ১৩০ রানকেও তখন বিশাল লক্ষ্য মনে হচ্ছিলো রংপুরের জন্য। ১০ ওভারে ৫৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে রংপুর।

তখনো এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শোয়েব মালিক। রংপুরের ভরসা হয়ে টিকে ছিলেন তিনি। ৩২ রানের জুটি গড়ে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও ফিরে গেলে আরো ফিকে হয় রংপুরের আশা।


তবে সাত নম্বরে নামা শামীম পাটোয়ারী আর শোয়েব মালিক জয়ের পথে রাখেন রংপুরকে। শোয়েব ৩৬ বলে ৪৪ রান করে আউট হলেও ১০ বলে ১৬ রানের ক্যামিওতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শামীম। ৪ উইকেটের জয় পায় রংপুর। শেষ ম্যাচে বরিশালের কাছে হারলেও খুলনার বিপক্ষে জিতে আবারো কক্ষপথে ফিরেছে রাইডার্স। অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচ হেরে চাপে তামিম,রাব্বিরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...