টি-টোয়েন্টিতে বিরাট-রোহিতদের সময় শেষ!

রোহিত, বিরাটরাও যেন ঢাকা পড়ে গেছেন জয়সওয়ালদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কাছে। আইপিএলে পারফর্ম করা তরুণদের তাই জাতীয় দলে সুযোগ দেবার পক্ষে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী। এমনকি টি-টোয়েন্টি থেকে বিরাট-রোহিতদের সরিয়ে তরুণদের জায়গা করে দেয়া উচিত বলেও মনে করেন ভারতের সাবেক এই কোচ।

চলতি আইপিএলে সব আলোই যেন নিজেদের করে নিয়েছেন ভারতের তরুণ খেলোয়াড়রা। ভারতীয় জাতীয় দলে ডাক পাবার দাবীটা বেশ জোরালো ভাবেই জানাচ্ছেন জয়সওয়াল, জিতেশ শর্মারা। রোহিত, বিরাটরাও যেন ঢাকা পড়ে গেছেন জয়সওয়ালদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কাছে।

আইপিএলে পারফর্ম করা তরুণদের তাই জাতীয় দলে সুযোগ দেবার পক্ষে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী। এমনকি টি-টোয়েন্টি থেকে বিরাট-রোহিতদের সরিয়ে তরুণদের জায়গা করে দেয়া উচিত বলেও মনে করেন ভারতের সাবেক এই কোচ।

দুর্দান্ত এক আইপিএলই কাটাচ্ছেন রাজস্থান ওপেনার জয়সওয়াল৷ টুর্নামেন্টে এক সেঞ্চুরি সহ ১৬৬.১৮ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৫৭৫ রান। নজর কেড়েছেন মুম্বাইয়ের ব্যাটার তিলক ভার্মাও। এবারের আইপিএলে ৪৫.৬৬ গড় ও ১৫৮.৩৮ স্ট্রাইকরেটই জানান দেয় তিলকের ইমপ্যাক্ট। পাঞ্জাবের হয়ে মিডল অর্ডারে ভরসা যোগাচ্ছেন জিতেশ শর্মা।

পারফর্ম করা তরুণদের সামনের সিরিজেই বাজিয়ে দেখার পক্ষে শাস্ত্রী। ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেন, ‘আইপিএলের পর প্রথম যে সিরিজটি আসবে, সেটিতে এই ছেলেদের খেলান। তাদের সামনে আনুন। নির্বাচকদের এখনই তাদেরকে সুযোগ দিয়ে তৈরি করা উচিত।’

শাস্ত্রি আরো বলেন, ‘রোহিত, বিরাট কোহলিদের মতো ক্রিকেটাররা পরীক্ষিত। সবাই জানে, তাদের সামর্থ্য কেমন। আমি হলে এই পথে (আইপিএলে ভালো করাদের সুযোগ দেওয়া) যেতাম, যাতে তারা সুযোগটা পায়, নিজেদের প্রকাশ করতে পারে। একই সময়ে আপনি রোহিত, বিরাটদের ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটের জন্য সতেজ রাখুন।’

অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের টেস্ট ক্রিকেটের জন্যই বেশি করে ব্যবহার করা উচিত বলেও মনে করেন শাস্ত্রী, ‘অভিজ্ঞদের নিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে ফোকাস করা উচিত। ভবিষ্যতের ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা করা উচিত। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সতেজ রাখলে তাদের খুব বেশি ক্রিকেট খেলতে হবে না। ‘

ভারতীয় দলে বর্তমান ফর্ম বিবেচনা করে খেলোয়াড় বাছাই করা উচিত বলে মত শাস্ত্রীর, ‘এক বছর অনেক লম্বা সময়। ক্রিকেটাররা ফর্মে থাকতে পারে, আবার ফর্ম হারাতেও পারে। নির্দিষ্ট সময়ের সেরাদেরকেই দলে নেওয়া হবে। অভিজ্ঞতা ও ফিটনেস অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। ওই মুহূর্তে কে এগিয়ে থাকবে, কে ধারাবাহিক, কে রান পেয়েছে, কোথায় রান পেয়েছে এগুলোও দেখতে হবে।’

আইপিএলে যে খেলোয়াড় দলে যে ভূমিকায় ভালো খেলেছে তাকে সেই ভূমিকায় বাজিয়ে দেখার পরামর্শও দেন শাস্ত্রী, ‘বিষয়টা এমন হওয়া উচিত যে, সঠিক কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া। এমন যেন না হয়, যে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ৩-৪ নম্বরে খেলে, তাকে ভারত দলে হুট করে ৬ নম্বরে বা ওপেনিংয়ে নামিয়ে দেওয়া হলো।’

ভারতীয় দলের জন্য ডানহাতি-বাঁ-হাতি কম্বিনেশন বেশ উপযোগী হতে পারে বলে মনে করেন তিনি, ‘ব্যাটিংয়ে আমি ডানহাতি-বাঁ-হাতি মিশ্রণ পছন্দ করব। বোলিংয়ে যেমন আপনি বাঁ-হাতির খোঁজ করেন। তেমনি প্রয়োজনে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানও দেখতে চাই আমি। আইপিএলেই দেখুন, যেসব দল ভালো করছে, তাদের মিশ্রণটা কেমন।’

শাস্ত্রী আরো বলেন, ‘যদি আপনার ভালো ওপেনার থাকে তাহলে আপনি হয়তো এমন উইকেটরক্ষক চাইবেন যে ছয় বা সাতে ব্যাট করতে পারে। আবার যদি আপনার ওপেনার বেশি ভালো না হয় তবে আপনি এমন উইকেট রক্ষকই চাইবেন যে ওপেন করতে পারে। দলের শক্তিমত্তা বোঝাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ‘

অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়ার ওপরই ভরসা করতে চান শাস্ত্রী, ‘হার্দিকই সঠিক ব্যাক্তি। দেখুন কি দারুণ ভাবে সে গুজরাট টাইটান্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সেই খেলোয়াড় ও অধিনায়কের ভূমিকাটাও সে ভারতীয় দলে পালন করতে পারে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...