প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার কাজটা আগেই সহজ করে ফেলেছিল ভারত। মাঝে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ওমন অবিশ্বাস্য পারফরম না করলে তৃতীয় ম্যাচেই হয়তো নিশ্চিত হয় যেত সিরিজ জয়; সেদিন সম্ভব না হলেও অপেক্ষা বেশি করতে হয়নি। চতুর্থ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২০ রানে হারিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণ করেছে সুরিয়াকুমার যাদবের দল।
আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত এদিন অবশ্য বিধ্বংসী সূচনা পায়নি, তবে দুই ওপেনার রান ঠিকই বের করেছেন। পাওয়ার প্লের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে যশস্বী জসওয়াল করেছেন ৩৭ রান, দলের রান তখন ৫০। একাদশে ফেরা শ্রেয়াস আইয়ার অবশ্য নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি, সুরিয়াকুমারও ব্যর্থ হয়েছেন; ফলে ৬৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
এরপর রুতুরাজ গায়কড় আর রিংকু সিং চেষ্টা করেছেন দলকে টেনে তোলার; কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি ৩২ রানে রুতুরাজ আউট হওয়ায়। যদি অবিচল ছিলেন রিংকু, উইকেটকিপার জীতেশ শর্মাকে নিয়ে গড়েছেন পঞ্চাশোর্ধ জুটি। তাতেই চ্যালেঞ্জিং স্কোরের ভিত পায় টিম ইন্ডিয়া।
শেষপর্যন্ত নয় উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৭৪ রান জমা হয়। যদিও ৪৬ করে রিংকু এবং ৩৫ রানের মাথায় জীতেশ আউট হলে রানের চাকা ধীর হয়ে যায়, তা না হলে হয়তো টার্গেট ১৮০ এর বেশি হতে পারতো।
রান তাড়া করতে নেমে ট্রাভিস হেডের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু পায় অস্ট্রেলিয়া। মাত্র তিন ওভারেই ৪০ রান করে দলটি, কিন্তু চতুর্থ ওভারে জশ ফিলিপ্পে এবং পরের ওভারে হেড আউট হলে ম্যাচের লাগাম চলে আসে ভারতের দখলে। তরুণ অ্যারন হার্ডি চার নম্বরে নেমে প্রতিরোধ গড়া তো দূরে থাক উল্টো বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, ৫২ রানে তখন তিন উইকেট হারিয়ে দিশেহারা অজিরা।
বেন ম্যাকডরমট, টিম ডেভিডরা রান তোলার চেষ্টা করলেও পারেননি ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করতে। রবি বিষ্ণুই আর অ্যাক্সার প্যাটেলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে হাঁসফাঁস করেছেন তাঁরা, সেটা থেকে মুক্তি পেতে বড় শট খেলে আউট হন ম্যাকডরমট; জয় তখন বহু দূরের স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
সেই স্বপ্ন আর পূরণ করা সম্ভব হয়নি; ম্যাথু ওয়েডের ২৩ বলে ৩৬ রানের ইনিংসও যথেষ্ট হয়নি জয়ের জন্য। শেষমেশ ১৫৪ রানেই থামতে হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।