রিশাদের নাম নিতেই লাহোর কালান্দার্সের ড্রেসিং রুমে করতালি। ‘দ্য গেম চেঞ্জার’ তকমা পেয়ে গেছেন রিশাদ হোসেন। পাকিস্তান সুপার লিগে নিজের অভিষেক ম্যাচেই বাজিমাত করেছেন রিশাদ। লাহোর কালান্দার্স দলের অন্দরমহলে সমীহ আদায় করে ফেলেছেন তিনি নিজের প্রথম ম্যাচেই। তিনি যে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যে পরিণত হয়েছেন, সেটা অকপটেই স্বীকার করেছেন দলটির টিম ডিরেক্টর সামিন রানা।
প্রথম ম্যাচে হেরে এবারের পিএসএল যাত্রা শুরু করেছিল লাহোর কালান্দার্স। সে ম্যাচে অবশ্য রিশাদ ছিলেন না একাদশে। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি এলেন লাহোরের লাকি চার্ম হয়ে। তার অভিষেক ম্যাচে ৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে শাহিন শাহ আফ্রিদির দল। এই জয়কে প্রায় নিখুঁত জয় বলেছেন সামিন রানা। আর এই নিখুঁত জয় পাওয়ার ক্ষেত্রে রিশাদেরও রয়েছে বেশ বড় অবদান।
তিনখানা উইকেট বাগিয়েছেন রিশাদ। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ছিল রাইলি রুশোর। প্রোটিয়া এই ব্যাটারকে তিনি ধূর্ততার ফাঁদে ফেলে বোল্ড আউট করেছেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই ম্যাচের পুরো ভাগ্য ঝুকে যায় লাহোরের দিকে। তাইতো রিশাদের উপর এখন বেড়ে গেছে লাহোর কালান্দার্সের আস্থা।
প্রায় প্রতিটা দলের নিজস্ব সংস্কৃতি থাকে। সে জায়গা থেকে ব্যতিক্রম নয় লাহোর কালান্দার্স। ম্যাচ পরবর্তী সময়ে যারা ভাল করেছেন, তাদের প্রশংসা করেছেন টিম ডিরেক্টর। আবার যারা আশানুরুপ পারফরম করতে পারেননি তাদেরকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, ভরসা দিয়েছেন পাশে থাকার।
সে সময়ে রিশাদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাকে বাংলাদেশি ভাই বলে সংবোধন করেন সামিন রানা। এরপর খানিকটা থেমে গিয়ে বলেন, ‘তুমি হচ্ছো গেম চেঞ্জার।’ জয়ের রাস্তা যে মসৃণ করে দিতে জানেন, তাকে তো তো গেম চেঞ্জার বলা যেতেই পারে।
এরপর খানিকটা স্বস্তি নিয়ে সামিন রানা বলেন, ‘যেভাবে তুমি বল করেছো, তাতে করে তুমি আমাদের প্রচুর আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছো যে এবারের আসরে আমাদের দলেই রয়েছে এই টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং আক্রমণ।’ করতালিতে মুখরিত ড্রেসিং রুমে সবাই সাদরে গ্রহণ করে নেয় এই বক্তব্যকে। রিশাদ এক স্মিত হাসি মুখে রেখে নিজের উপর আসা দায়িত্বভারকে আলিঙ্গন করলেন যেন।
স্বাভাবিকভাবেই রিশাদের উপর এবার লাহোরের প্রত্যাশা বেড়েছে দ্বিগুণ। প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই তিনি একাদশে সুযোগ পেতে চলেছেন তিনি, সেটা নিশ্চিত। স্রেফ প্রত্যাশার চাপে নুইয়ে পড়া যাবে না। রিশাদ তো লড়াই করতে করতেই আজ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন সর্বত্র।