হাতি নাকি মরলেও লাখ টাকা! কিন্তু, এরকম হাতি পোষার অবস্থাতে কি আদৌ আছে বাংলাদেশ দল? সম্ভবত নেই, তারপরও কেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বয়ে বেড়ানো? তিনি পারছেন না কোনো ভাবেই, তাঁকে দিয়ে আর হচ্ছে না। বিদায় বলে ফেলার এর চেয়ে ‘মোক্ষম’ সময় আর হতেই পারে না।
তারপরও কেন রিয়াদ দলে? প্রশ্নের উত্তরটা কেবল বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টই দিতে পারবে। অভিজ্ঞতার দোহাই দিয়ে দিনের পর দিন একজন আন্ডারপারফমারকে দলের সাথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। আবার নিয়মিত একাদশেও রাখা হচ্ছে।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিয়মিত রান পাচ্ছেন না। যখনই বা পাচ্ছেন, সেটাও দলের কোনো কাজে লাগছে না। অন্য কোনো ভাবেও ইমপ্যাক্ট রাখতে পারছেন না। শারজাহতেও মোহাম্মদ নবীর একটা ক্যাচ মিস করেছেন। বলের ফ্লাইট ধরতে পারেননি, বলের লাইনে পৌঁছানোর চেষ্টাও করেননি।
তাঁর ব্যাটিং রিফ্লেক্স নষ্ট হয়ে গেছে, হ্যান্ড আই কম্বিনেশন নেই বললেই চলে। স্ট্রাইক রোটেট করতে পারেন না ঠিক মত। এমনকি এমন ম্যাচ খুঁজে পাওয়া কঠিন, যেখানে রিয়াদ ফিল্ডিংয়ে বড় কোনো ভুল করছেন না।
ফিল্ডিংয়ে না হয় তাঁকে লুকিয়ে রাখা গেল, কিন্তু একাদশে যিনি ছয়-সাত কিংবা কখনও পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামছেন – তাকে লুকিয়ে রাখবেন কি করে! চাইলেই তো তাকে আর একাদশের বাইরে রাখার সাহস দেখাতে পারছেন না বাংলাদেশ। আর আজকাল বোলিংয়ে তো আসতেই চান না নিয়মিত। অথচ, একটা সময় পুরোদস্তর অলরাউন্ডার ছিলেন রিয়াদ।
রিয়াদ এক সময় ফিনিশার ছিলেন, প্রয়োজনে ইনিংস বিল্ড আপও করতে পারতেন। সেটা এখন আর পারছেন না। ক্রিকেট পারফরমিং আর্ট। এর বাস্তবতাটাই এমন। এখানে কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। যত দিন এগোবে, ততই সেরা সময়টা অতীত হতে থাকবে।
ওই যে বলে, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়। শান-সৈকত কারোই চীরকাল থাকে না। এক সময় যার ব্যাটিং শৈল্পিক বলে মনে হত, একটা সময় সেটা খুব কুৎসিৎ দেখাবে, যেটা এখন রিয়াদের ক্ষেত্রে হচ্ছে।
টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে রিয়াদ সেটা বুঝে ফেলেছেন, যত দ্রুত ওয়ানডেতেও বুঝে ফেলবেন – সেটা বাংলাদেশ দলের জন্যই মঙ্গল। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁর ওপর ভরসা করলে বিপদেই পড়বে বাংলাদেশ দল। দু’পক্ষেরই শুভ বুদ্ধির উদয় হোক – অদৃষ্টের দিকে তাকিয়ে এমন প্রত্যাশা করার কোনো বিকল্পও নেই!