স্বরূপে আবির্ভাব মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের

রিয়াদ যখন ক্রিজে আসেন তখন বেশ চাপে ছিল বরিশাল। তিন ওভারের মাঝেই তামিম, মুশফিক আর শেহজাদ ফিরে গিয়েছিলেন প্যাভিলিয়নে।

এইতো ২০২৩ সালে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, অনেক লড়াই শেষে ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে এই ফরম্যাটে নিজের পায়ের নিচে মাটি শক্ত করেছিলেন। বাকি ছিল টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তনের, বিপিএলে পারফরম করার মধ্য দিয়ে সেই পথেই হাঁটছেন তিনি; চলতি আসরে তাঁর ব্যাট হয়ে উঠেছে অনেক বেশি উজ্জ্বল।

সর্বশেষ দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে এই ডানহাতি করেছেন ৪৭ বলে ৭৩ রান। সাতটি চারের পাশাপাশি চারটি বিশাল ছক্কায় এই ইনিংসে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৫৫.৩২। তাই তো শুরুতেই ধাক্কা খাওয়া ফরচুন বরিশাল যে শেষপর্যন্ত ১৮৯ রানের পাহড়সম পুঁজি পেয়েছে সেটির কৃতিত্ব তাঁকে দিতেই হবে।

এই ব্যাটার যখন ক্রিজে আসেন তখন বেশ চাপে ছিল বরিশাল। তিন ওভারের মাঝেই তামিম, মুশফিক আর শেহজাদ ফিরে গিয়েছিলেন প্যাভিলিয়নে। বিপদের এই সময়ে হাল ধরেছিলেন তিনি, সৌম্য সরকারকে নিয়ে সাবলীল ব্যাটিংয়ে ১৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়া দলকে পৌঁছে দিয়েছেন নিরাপদ অবস্থানে।

 

ইনফর্ম শরিফুল ইসলামকে পরপর দুই বলে চার ও ছয় মেরে শুরুতেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন রিয়াদ। ম্যাচের আরেক সেরা পেসার তাসকিনকে চার হাঁকিয়েই ৩৬ বলে পূর্ণ করেছিলেন হাফসেঞ্চুরি, পরের বলে লং অফের উপর দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন বিশাল ছয়। এই ঝড় চলমান ছিল প্রায় শেষপর্যন্ত।

সবমিলিয়ে তাঁর ব্যাটিং ছিল একেবারে সময়োপযোগী। বিপর্যয়ের সময় শক্ত হাতে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, এরপর সেট হতেই শাসন করেছিলেন প্রতিপক্ষ বোলারদের।

এর আগের ম্যাচগুলোতেও গুরুত্বপূর্ণ রান করেছিলেন সাইলেন্ট কিলার। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তো ম্যাচসেরার পুরষ্কারই নিজের করে নিয়েছিলেন তিনি, সেই ম্যাচে ২৪ বলে করেছিলেন ৫১ রান। সবমিলিয়ে দারুণ একটা বিপিএলের মৌসুম কাটছে তাঁর।

ফিনিশারের ভূমিকায় নিয়মিত ক্যামিও খেলছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ; সাত নম্বরে যাদের বিকল্প ভাবা হয়েছিল তাঁদেরকে যোজন যোজন দূরে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সেজন্যই টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার পথটা এখন সহজ হয়ে গেলো তাঁর জন্য, দলে ফিরলে এমন ‘ভিন্টেজ রিয়াদ’-কেই মাঠে দেখতে চাইবে ভক্ত-সমর্থকেরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...