বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে পাকিস্তান দল। ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে তিন টি-টোয়েন্টি ও ২ টেস্ট সিরিজ। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা মোহাম্মদ রিজওয়ান ইতোমধ্যেই বিশ্বদরবারে ভাসছেন প্রশংসায়। সেমিফাইনালের আগে দুই দিন আইসিউতে থেকেও অবিশ্বাস্য ভাবে খেলতে নামেন তিনি! আর দুর্দান্ত এক ফিফটি উপহার দেন দলকে। ম্যাচ হারলেও রিজওয়ানকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকরা।
বাংলাদেশে এলেও এখন পর্যন্ত অনুশীলন শুরু করেননি তিনি। শারীরিক ধকল কাটিয়ে উঠতে এবং সম্পূর্ণ ফিট হতেই বিশ্রামে আছেন তিনি। তবে এখন পুরোপুরি ফিট থাকায় আগামিকাল অনুশীলন করবেন রিজওয়ান। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রিজওয়ান জানান স্পিনাররা এই উইকেটে বেশি সুবিধা পান। একই সাথে এক বছরে সর্বাধিক রান করতে পেরেও খুশি এই পাকিস্তানি ওপেনার।
রিজওয়ান বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি এখানে স্পিনাররা সুবিধা পায়। এখানের উইকেটে স্পিনটা বেশি ধরে। আমি এখন বেশ ভালো আছি এবং আগামি কালকে অবশ্যই অনুশীলন করবো। আমি খুব খুশি এক বছরে সর্বাধিক রানের রেকর্ড গড়তে পেরে। তবে আমি বেশি উচ্ছ্বসিত কারণ আমি এই রেকর্ডটা আমার দেশের হয়ে করতে পেরেছি।’
সাম্প্রতিক সময়ে উড়ন্ত ফর্মে আছেন রিজওয়ান। হঠাৎ বদলে যাওয়া রিজওয়ানের এই সফলতার পিছনে কারা আছেন সেটিও জানালেন গণমাধ্যমে। একই সাথে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন এই ওপেনার। তিনি বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই রিচার্ড পাইবাস, ইনজামাম উল হক ও শহিদ আসলামকে। এই পথ পাড়ি দেওয়ার পেছনে তাদের অবদান অনেক।’
বিশ্বকাপের আগে দলের ব্যাটিং পরামর্শক হয়ে আসেন সাবেক অজি ওপেনার ম্যাথু হেইডেন। হেইডেনের পরামর্শে ব্যাটারদের যে সফলতা তা অকপটে স্বীকার করেন রিজওয়ান। একই সাথে জানালেন পাওয়ারপ্লেতে উইকেট না হারানো এবং শুরুতেই ব্রেকথ্রু আনতে পারাই বিশ্বকাপে শক্তি হিসেবে কাজ করেছে পাকিস্তানের। তিনি বলেন, ‘ম্যাথু হেইডেনের পরামর্শ খুব কাজে দিয়েছে সব ব্যাটারের। আরব আমিরাতে কোনো দলই সেভাবে পাওয়ারপ্লে থেকে সুবিধা পায়নি। পাওয়ারপ্লেতে উইকেট না হারানো এবং শুরুতেই প্রতিপক্ষের উইকেট শিকার করা আমাদের মূল শক্তি ছিলো এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।’
আগামি ১৯ নভেম্বর সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দুইটায়। উড়ন্ত ফর্মে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে নিশ্চয়ই সিরিজটি সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য।