২০১১ সালের পর আরো একবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নে বিভোর ছিল ভারত। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে পারফরম্যান্সে সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই অজিদের কাছে কুপোকাত হয়েছে স্বাগতিকরা। আর এই জয়ে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন প্যাট কামিন্স, মার্নাস লাবুশানেরা।
অপরাজেয় হয়ে ওঠা ভারতকে হারিয়ে বিশ্ব জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক কামিন্সের খুশি ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। এই পেসার বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা সেরাটা শেষের জন্য জমিয়ে রেখেছিলাম। এই বছর অনেক অনেক সময় ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। গত শীতের পর থেকে আমরা দারুণ সব সফলতা পেয়েছি, তবে এটি সবকিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।’
ফাইনালের নায়কদের ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বোলিং ইনিংস নিয়ে আমি খুবই খুশি ছিলাম। এরপর লাবুশানে ঠাণ্ডা মাথায় আর হেড যেভাবে আধিপত্য দেখিয়ে খেলেছে সেটা অসাধারণ ছিল।’
অন্যদিকে রোহিত শর্মার কণ্ঠে ঝরেছে বেদনার সুর। তিনি বলেন, ‘আমরা টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ভাল খেলেছিলাম। কিন্তু এই ম্যাচে আমরা সেরাটা দিতে পারিনি। ২০/৩০ রান বাড়তি থাকলে হয়তো ভাল হতো। তাছাড়া লাইটের নিচো ব্যাটিং সহজ হয়ে গিয়েছিল, তবে এখন অজুহাত দিতে চাই না।’
বোলিংও এদিন মনমতো হয়নি স্বাগতিকদের এমনটা জানিয়ে এই ওপেনার বলেন, ‘যখন আপনার বোর্ডে ২৪০ রান থাকবে তখন দ্রুত উইকেট নিতে হবে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করেও পারিনি; শুরুর তিনটা উইকেট নিয়েছি, আর একটা উইকেট নিতে পারলে হয়তো খেলাটা ঘুরে যেত।’
প্লেয়ার অব দ্য ফাইনালের পুরষ্কারও উঠেছে সেঞ্চুরিয়ান হেডের হাতেই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শতক হাঁকানোর পর এবার বিশ্বকাপেও হেলমেট খুলে উদযাপনের উপলক্ষ পেলেন তিনি। অন্যদিকে টুর্নামেন্টসেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন বিরাট কোহলি, অবশ্য বিশ্বকাপটাই বেশি পছন্দ ছিল তাঁর।