দলকে পথ দেখালেন সাব্বির, তবে হাঁটা হলো না সেই পথে!

খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুললেন সাব্বির রহমান, দেখালেন পথ। হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ম্যাচেও দল পেল জয়ের স্বাদ। যদিও শেষটাতে নায়কের মুকুট পরে মাঠ ছাড়তে পারলেন না। 

খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুললেন সাব্বির রহমান, দেখালেন পথ। হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ম্যাচেও দল পেল জয়ের স্বাদ। যদিও শেষটাতে নায়কের মুকুট পরে মাঠ ছাড়তে পারলেন না।

রংপুরের দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা একটা সময় পাহাড়সমান হয়ে দাঁড়ায় রাজশাহীর জন্য। মাত্র ২৯ রান করতেই হারিয়ে ফেলে পাঁচ উইকেট। শাকির হোসেন শুভ্রকে সঙ্গী করে সাব্বির রহমান দলের হাল ধরলেন। সতর্কতার সঙ্গে সামাল দিলেন পরিস্থিতি।

শেষ নয় ওভারে রাজশাহীর দরকার ছিল ৯৭ রান। দুজনেই গিয়ার আপ করলেন। তবে সাব্বিরকে থামতে হলো ১০৩ রানের মাথায়। তখনও যে দলের দরকার ছিল ৪১ রান। আফসোসের স্ফুলিঙ্গ তীব্র করে ৩৫ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির।

দুই চার আর এক ছক্কায় সাজানো ইনিংসের স্ট্রাইক রেটটা কাটায় কাটায় ১০০। স্কোরকার্ড দেখে সাদামাটা মনে হলেও এর মাহাত্ম্য যে অনেক বেশি। চাপ সামলে দলকে জেতার পর্যায়ে যে নিয়ে গেছেন তিনি।

সাব্বিরের শেষ করতে না পারার আক্ষেপটা অবশ্য পুষিয়ে দিয়েছেন শুভ্র। ৪২ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেছেন, ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। তবে কৃতিত্ব নিহাদুজ্জামানের কম নয়।

শেষদিকে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন তিনি। ১৪ বলে ২৭ রানের ইনিংসে নিশ্চিত করেছেন দলের জয়। দুই বল আর চার উইকেট হাতে রেখে শেষটাতে জয়ের বন্দরে তরী ভেড়ায় রাজশাহী।

এতে অবশ্য আক্ষেপ বাড়ল রংপুরের, আক্ষেপ বাড়ল ইকবাল হোসেনেরও। তার ৪৫ বলে ৫০ রানের ইনিংসে ভর করেই যে রংপুর পেয়েছিল লড়াকু পুঁজি। তবে পুরোটা সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রেখেও শেষটাতে হাতছাড়া হলো রংপুরের জয়।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link