খালি হাতে ফিরতে চান না সাইফউদ্দিন

নিউজিল্যান্ডে অবস্থানকারী বাংলাদেশ দল এখনও সেই অর্থে মাঠে নামার সুযোগ পায়নি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডে পৌছার পর থেকেই করোনার কারণে কঠোর কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। কোয়ারেন্টাইনের প্রথম সাত দিন অনুশীলন করার সুযোগও পায়নি সফরকারী ক্রিকেটাররা।

প্রথম তিন দিন হোটেলে বন্দী থাকার পর কোয়ারেন্টাইনের তৃতীয় দিন প্রথম দফার করোনা টেস্টে সবাই নেগেটিভ আসার পর সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো প্রতিদিন ৩০ মিনিট বাইরে হাটার। আর অস্টম দিন দ্বিতীয় দফায় করোনা নেগেটিভ আসার পর আরো শিথিল করা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম। নিয়ম শিথিলের পর গতকাল জিম করে কাটালেও আজ প্রথম বারের মতো অনুশীলন করেছে ক্রিকেটাররা।

প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, প্রথম সাত দিন কোয়ারেন্টাইন করার পর আজ অষ্টম দিনে ছোট ছোট গ্রুপ করে অনুশীলনে গেলাম। আলহামদুলিল্লাহ, ওভারঅল সব কিছু মিলিয়ে ভালো ছিলো। যদিও প্রথম বারের মতো এরকম অভিজ্ঞতা হলো কোয়ারেন্টাইন মেইনটেইন করে নিউজিল্যান্ড ট্যুরে আসা। সব কিছু মিলিয়ে ভালো ছিলো। আমরা স্পোর্টসম্যান সব ধরণের পরিন্তিতিতে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি।’

প্রথম দিন ফিল্ডিং নিয়েই বেশি কাজ করেছে বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডের বাতাসের সাথে মানিয়ে নিতে অনেক উচ্চতার ক্যাচ গুলোকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অনুশীলনে। এছাড়া ছোট ছোট সেশনে ব্যাটিং বোলিং অনুশীলনও করেছে সফরকারী ক্রিকেটাররা। ফিটনেস ঠিক রাখতে রানিং দিয়ে শেষ হয় প্রথম দিনের অনুশীলন।

অনুশীলন প্রসঙ্গে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘আজকের অনুশীলনে সবার আগে আমরা ফিল্ডিং নিয়ে বেশি কাজ করেছি। শর্ট ক্যাচ ও হাই ক্যাচ নিয়ে। কারণ এখানকার ওয়েদারে বাতাসের একটা ব্যাপার থাকে এটা মানিয়ে নেওয়ার জন্যই ক্যাচিং করা। এরপর আমরা ছোট ছোট সেশনে ব্যাটিং এবং বোলিং করি। এরপর আমরা ফিটসেস করি। যেহেতু সাত দিন ফিটনেস খুব বেশি করতে পারিনি। যার কারণে আমরা রানিং করি। আমাদের ট্রেইনারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা রানিংটা করলাম। আরো যতো সময় পাবো অনুশীলন করে নিজেদের প্রস্তুত করার চেষ্টা করবো।’

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এর আগে ৯ টেস্ট, ১৩ ওয়ানডে ও ৪ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে সব গুলো ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। তবে এবার ভালো করতে আশাবাদী সবাই। বাকি সবার মতো সাইফউদ্দিনও জানিয়েছেন এবার শূন্যের খাতায় প্রাপ্তি যোগ করেই দেশে ফিরতে চান তাঁরা।

তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশা অবশ্যই থাকবে, কারণ ওয়ানডেতে আমরা অনেক ভালো টিম। আমরা যদি সবাই ভালো খেলতে পারি দিনটা যদি আমাদের হয় অবশ্যই আমাদের পক্ষে রেজাল্ট কথা বলবে। এর পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিও আছে, যেহেতু এর আগে আমাদের প্রাপ্তির খাতা একদমই শূন্য। আমাদের চেষ্টা থাকবে এই সিরিজ থেকে কিছু নিয়ে যেনো দেশে যেতে পারি।’

অনুশীলন করে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড শেষ করে কুইন্সটাউনে সাত দিনের ট্রেনিং ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ। ২০ মার্চ ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। ২৩ মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে হ্যাগলি ওভাল, ক্রাইস্টচার্চে এবং ২৬ মার্চ শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে বেসিন রিজার্ভ, ওয়েলিংটনে।

ওয়ানডে সিরিজ শেষে ২৮ মার্চ সেডন পার্ক, হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ৩০ মার্চ ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে ইডেন পার্ক, অকল্যান্ডে ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে শেষ টি-টোয়েন্টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link