মাথায় চোট পাওয়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মাঠ থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। সাইফউদ্দিনের কনকাশন সাব হিসাবে বল করতে দেখা যাবে তাসকিন আহমেদকে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিয়ম অনুযায়ী কোনো ক্রিকেটার চোট পেয়ে মাঠ থেকে উঠে গেলে এরপর যদি আর মাঠে নামতে না পারেন তবে তার বদলি হিসেবে একই ক্যাটাগরির অন্য ক্রিকেটারকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে দল। সাইফউদ্দিনের পরিবর্তে আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ বেছে নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
এর আগে টেস্টে দেখা মিললেও ওয়ানডেতে আগে কখনোই কনকাশন সাব দেখেনি বাংলাদেশের ক্রিকেট। সেই হিসেবে তাসকিন আহমেদ বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম কনকাশন সাব।
বাংলাদেশের ইনিংসের ৪৭তম ওভারের দ্বিতীয় বল খেলতে গিয়ে চোট পান সাইফউদ্দিন। লঙ্কান পেসার দুশমান্থা চামিরার শর্ট বল সাইফউদ্দিনের হেলমেটে আঘাত করে। মাঠ ছাড়ার পর সাইফউদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে বিসিবির মেডিকেল টিম। তবে আঘাত বেশি পাওয়াতে এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে।
যেহেতু সিরিজ শুরুর আগে থেকেই জৈব সুরক্ষা বলয়ে রয়েছেন ক্রিকেটাররা। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্ক্যান করানোর জন্য হসপিতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। স্ক্যান রিপোর্ট পাওয়ার পর এই অলরাউন্ডারের চোট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সপ্তম উইকেট হারানোর পর মুশফিকের সাথে জুটি বাঁধেন সাইফউদ্দিন। অষ্টম উইকেটে দুজন যোগ করেন ৫১ বলে ৪৮ রান। সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ১১ রান করে রান। মুশফিকের সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কাকে ২৪৭ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ১২৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন মুশফিক।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর: (প্রথম ইনিংস শেষে)
বাংলাদেশ: ২৪৬/১০ (ওভার: ৪৮.১; তামিম- ১৩, লিটন- ২৫, সাকিব- ০, মুশফিকুর- ১২৫, মোসাদ্দেক- ১০, মাহমুদউল্লাহ- ৪১, আফিফ- ৮, মিরাজ- ০, সাইফউদ্দিন- ১১) (সান্দাকান- ১০-০-৫৪-৩, চামিরা- ৭-২-২৭-২, হাসারাঙ্গা- ৮.৩-১-২৬-১)