নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শুরুটা ভাল হয়নি পাকিস্তানের, ড্যারেল মিশেলের তান্ডবের পর বাবর আজমদের প্রতিরোধ সত্ত্বেও ৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে শাহীন শাহ আফ্রিদির দল। দল হেরে গেলেও সায়িম আইয়ুব অবশ্য উজ্জ্বল ছিলেন নিজের আলোতে, গড়েছেন একাধিক রেকর্ড।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে আট ব্যাটারকে হারিয়ে ২২৬ রান করেছিল কিউইরা। এই আট ব্যাটারের সাতজনই ক্যাচ আউটে থেমেছেন; আর এদের মধ্যে চারজনই ধরা পড়েছেন সায়িমের হাতে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে কোন পাকিস্তান ফিল্ডার আগে কখনোই এক ইনিংসে এত ক্যাচ মুঠো-বন্দি করতে পারেননি।
শুধু ফিল্ডিংয়ে নয়, ব্যাটিংয়েও অনন্য কীর্তি গড়েছেন এই ওপেনার। বড় রান তাড়া করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা দিয়েছিলেন তিনি; ইনিংসের প্রথম বলেই টিম সাউদিকে চার মেরে শুরু, একই ওভারে এরপর হাঁকান বিশাল এক ছয়।
তবে তাঁর উত্তাপ সবচেয়ে বেশি টের পেয়েছেন ম্যাট হেনরী। দুই ছয় ও এক চারে এই পেসারের চার বলে ১৬ রান নেন পাক তরুণ। কিন্তু তৃতীয় ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হতে হয় তাঁকে, মাত্র ৮ বলে ২৭ রান করে থামেন তিনি।
সায়িম আইয়ুবের ব্যাটিং পারফরম্যান্সকে আরো বিশেষ করে তুলেছে তাঁর রান তোলার গতি, সংক্ষিপ্ত এই ইনিংসে ৩৩৭.৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন তিনি। সর্বনিম্ন ২৫ রান করেছে এমন ক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের রেকর্ড এখন তাই এই বাঁ-হাতির দখলে।
এর আগে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫ বলে ৩৯ রান করেছিলেন শহীদ আফ্রিদি; তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ২৬০। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস এসেছিল মোহাম্মদ হারিসের ব্যাট থেকে, সেই ম্যাচে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ২৫০ এর বেশি।