বিপিএলে নেই সালাউদ্দিন, তবুও শিষ্যদের ডাকে অনুশীলনে

তিনি তার শিষ্যদের দীক্ষা দেওয়ার কাজটা করে যেতে চান যেকোন পরিস্থিতিতে। সে উদাহরণই সৃষ্টি করেছেন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

দু’টো ভিন্ন দলের দু’জন স্পিনার মিলেছেন এক বিন্দুতে। শেখ মেহেদি হাসান এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলবেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। অন্যদিকে, আলিস আল ইসলাম এবার গায়ে চাপিয়েছেন চট্টগ্রামের জার্সি। তবে এদের দু’জনকে এক নেটের তলে নিয়ে এসেছেন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

বিপিএল এলেই আগ্রহের কেন্দ্রতে থাকতেন কোচ সালাউদ্দিন। দেশের একমাত্র ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সফল কোচও তিনি। কিন্তু এবার তিনি নেই বিপিএলের দলে। সম্প্রতি তিনি যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলে। সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

তার প্রথম এসাইনমেন্ট ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। সেখানে দলের অভিজ্ঞা বা অর্জন মিশ্র। ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে দল, টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছে টাইগাররা। ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে টেস্ট সিরিজ। প্রথম এসাইনমেন্ট খুব একটা খারাপ কাটেনি তার।

এখন চাইলেই তিনি খানিক বিশ্রাম নিতেই পারতেন। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য প্রায় নিবেদিত প্রাণ সালাউদ্দিন ঘরে বসে সময় কাটাচ্ছেন না। স্বদেশী খেলোয়াড়দের সহয়তা করতে তিনি হাজির মিরপুর একাডেমি মাঠে।

সেখানে একপাশে অনুশীলন করছিল রংপুর অন্য পাশটায় চট্টগ্রাম। এই দুই দলের দুই স্পিনার যেন সালাউদ্দিনকে পাওয়া মাত্রই নিজেদের সমস্যা নিয়ে হাজির হয়েছেন তার কাছে। মূলত লেন্থ ঠিক করার প্রয়াশ ছিল মেহেদী ও আলিসের। গুড লেন্থে বল ফেলে স্পিন করানোর অনুশীলনই করছিলেন তারা দুইজনে।

তাদের অনুশীলন তদারকি করেছেন সালাউদ্দিন। এমনকি ধরিয়ে দিচ্ছিলেন আলিস ও মেহেদির ভুলও। ভুল শুধরে দিতেও দেখা গেছে তাকে। এমনকি উইকেটের মাঝে গিয়েও তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন ঠিক কোথায় বল পিচ করানো উচিত।

প্রতিটা বল শেষেই আলিস ও মেহেদী এগিয়ে এসেছেন সালাউদ্দিনের দিকে। তার কাছে সমস্যার কথাগুলো বলছিলেন। সেই সমাধান বলে দিচ্ছিলেন তিনি। দেশীয় খেলোয়াড়দের এমন যেকোন প্রয়োজন হাজির হয়ে যান সালাউদ্দিন।

ঠিক সে কারণেই যেকোন মুশকিল সমাধানে তার শরণাপন্ন হয় দেশের ক্রিকেটাররা। একজন শিক্ষক তার শিষ্যদের কখনোই ফিরিয়ে দেয় না। তাইতো জাতীয় দলের সহকারি কোচ হয়েও তিনি হাজির হয়েছেন বিপিএলের অনুশীলনেও।

একজন শিক্ষককে কোন নির্দিষ্ট সীমারেখায় আবদ্ধ করা যায় না। তিনি তার শিষ্যদের দীক্ষা দেওয়ার কাজটা করে যেতে চান যেকোন পরিস্থিতিতে। সে উদাহরণই সৃষ্টি করেছেন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এজন্যই হয়ত দেশীয় খেলোয়াড়দের কাছে তার কদর এতটা বেশি।

Share via
Copy link