ঠায় দাঁড়িয়ে আছে এক সিংহ। প্রতিপক্ষ বাড়ি ফিরছে, জঙ্গলের এক চূড়ায় দাড়িয়ে সেই প্রস্থান দেখছেন জঙ্গলের রাজা। সেই রাজা হলেন শহীদ আফ্রিদি। রাজার যে শৌর্য্য থাকা তাঁর পুরোটাই ধারণ করে আছেন বুমবুম আফ্রিদি।
একটা বলও ছোঁড়ার সুযোগ পেলেন না, ব্যাট ছুঁয়ে দেখারও নয়। গ্যালারির এক কোণে, নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে শুধু দেখলেন—কীভাবে যুবরাজ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স দল মাঠ ছেড়ে চলে গেল। ব্যালকনিতে একটা পা তুলে দিয়ে শুধুই নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন আফ্রিদি
বনের রাজা নিশ্চয়ই এভাবে জয় পেতে চাইবেন না। আফ্রিদিও নিশ্চয়ই চাননি। ভারতের কাছ থেকে ওয়াক ওভার নিয়ে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স দল চলে গেছে ফাইনালে। রাজনীতি এসে চেপে বসল ক্রিকেটের বুকে।
হামলা-সংঘর্ষের পর কূটনৈতিক সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা ছিল ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। ভারতীয় দল আগেই লিগ পর্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে না খেলার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু, ধারণা করা হচ্ছিল – সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হয়তো বদলে যাবে সেই সিদ্ধান্ত।
হল না। বরং মাঠে নামার বদলে যুবরাজ, রায়না, ধাওয়ানরা হেঁটে বেরিয়ে গেলেন মাঠ থেকে। পাকিস্তান জিতল ঠিকই। কিন্তু, এভাবে জিততে কেই বা চায়। শহীদ আফ্রিদির শৌর্য্যকে তাই বিজয়ের প্রতীক নাকি অসহায়ত্ব – কোনটা বললে সঠিক উপমা দেওয়া হবে – তা বলা মুশকিল। সিংহ নিজের আত্মমর্যাদায় আঘাত মানতে পারে না, শহীদ আফ্রিদিরও মানতে পারার কথা নয়।
শহীদ আফ্রিদি মানেই আগ্রাসন। তিনি মাঠেই সেই আগ্রাসনটা দেখাতে চেয়েছিলেন। পারলেন না। ভারতের নীরব প্রতিবাদই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে জোরালো জবাব হয়ে রইল।