এই অ্যাপ্রোচ বদলাতে চান না সাকিব!

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে আইরিশদের এক প্রকার উড়িয়েই দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ম্যাচে এসে যেন মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল সাকিবের দল। ঘরের মাঠে প্রথম বারের মতো আয়ারল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের স্বাদ নিল বাংলাদেশ। হোয়াইট ওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়েও তাই ২-১ এ সিরিজ জিতে সন্তষ্ট থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। 

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে আইরিশদের এক প্রকার উড়িয়েই দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ম্যাচে এসে যেন মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল সাকিবের দল। ঘরের মাঠে প্রথম বারের মতো আয়ারল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের স্বাদ নিল বাংলাদেশ। হোয়াইট ওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়েও তাই ২-১ এ সিরিজ জিতে সন্তষ্ট থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

আইরিশদের কাছে এমন হারেও অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে দলের এমন অ্যাপ্রোচের কোনো খামতি দেখছেন না অধিনায়ক সাকিব। তাঁর মতে, বাংলাদেশ যেভাবে খেলতে চেয়েছে, এমনটা ধরে রাখলেই বড় দল হওয়া সম্ভব।

এ নিয়ে ম্যাচ শেষে তিনি বলেন,’আমরা ভাল ব্যাটিং করিনি। শুরুতেই উইকেট হারিয়েছি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এমন অ্যাপ্রোচেই খেলা উচিৎ। এই অ্যাপ্রোচ আমরা বদলাতে চাইনা। এতে করে হয়তো কিছু বাজে দিন আসবে। কিন্তু বড় দল হতে হলে এমন ঝুঁকি নিয়েই খেলতে হবে। আমরা পুরো সিরিজে সেভাবেই খেলার চেষ্টা করেছি। তবে আজকে দিনটা আমাদের ছিল না। কৃতিত্বটা আইরিশদের দিতে হয়। ওরা দারুণ খেলেছে।’

পুরো সিরিজ জুড়েই দারুণ বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ। ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট পাওয়া এ পেসারের হাতেই তাই উঠেছে সিরিজ সেরার পুরস্কার। উইকেট ফ্ল্যাট  কিংবা বোলিং সহায়ক হোক, তাসকিনের ভাবনায় থাকে সব সময় ভাল বল করে যাওয়া- এমন লক্ষ্যের কথা জানিয়ে তাসকিন বলেন, ‘নিজের প্রতি বিশ্বা রেখেছি সব সময়। উইকেট যেমনই থাক আমার কাজ ভাল বল করে যাওয়া। আমি আমার সবটুকু উজাড় করে দিতে চাই। দলকে আরো সহায়তা করতে চাই। আমরা পেসাররা কঠোর পরিশ্রম করছি।  আমরা বিশ্বের সেরা পেস বোলিং লাইন আপ হওয়ার সামর্থ্য রাখি।’

আগের ম্যাচেই আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং জানিয়েছিলেন, ঘুরে দাঁড়াতে চায় তাঁর দল। দল হিসেবে আয়ারল্যান্ড এ ম্যাচ দিয়ে দুর্দান্তভাবে ঘুরেও দাঁড়িয়েছে। ৪১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন অধিনায়ক স্টার্লিং। তবে ম্যাচ জেতার কৃতিত্ব বোলারদের দিয়েছেন এ আইরিশ অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘মূলত বোলাররাই খেলাটা আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছে। পাঁচজন বোলারই দারুণ বল করেছে শেষ দুই সপ্তাহে আমরা এমন পারফর্ম্যান্স দেখানোর অপেক্ষাতাই ছিলাম। আমরা যত খেলব তত উন্নতি করব।’

২০১৯ সালের জুলাইয়ে শেষ টেস্ট খেলেছিল আয়ারল্যান্ড। প্রায় আড়াই বছর পর আবারো বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট খেলতে যাচ্ছে আইরিশরা। পল স্টার্লিং জানিয়েছেন সেই দীর্ঘ প্রতিক্ষার কথাও। সবাই যে এই টেস্ট ম্যাচের জন্য রোমাঞ্চিত তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকটা বছর হয়ে গেল, আমরা টেস্ট খেলিনা। অবশেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা টেস্ট খেলতে যাচ্ছি। পুরো দল সেই ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমরা সবাই খুব রোমাঞ্চিত।’

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড মধ্যকার একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে ৪ এপ্রিলে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...