বোলিং শ্রেষ্ঠত্বের একমাত্র অলরাউন্ডার

বিশ্বকাপের বৈশ্বিক মঞ্চ মানেই যেন সাকিবের একাধিপত্য। ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন। সাকিব নামটার সাথে অবশ্য ‘সামনে থেকে নেতৃত্ব’ বলাই শ্রেয়।

বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের দুটি রেকর্ডই যে তাঁর। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ফাইফার পাওয়ার কীর্তিটাও সাকিবের।

ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া সাকিব এবার টুর্নামেন্টেই থাকছেন বল হাতে সেরাদের ক্লাবে। বর্তমানে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলছেন এমন বোলারদের মধ্যে উইকেট শিকারের তালিকায় সাকিব রয়েছেন সেরা তিনে। তাঁর চেয়ে এগিয়ে আছেন শুধু দুজন; মিশেল স্টার্ক ও ট্রেন্ট বোল্ট।

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত গত ৪ আসর মিলিয়ে মোট ২৯টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। আর সেই ২৯ ম্যাচে ৩৫.৯৪ গড়ে ও ৫.১১ ইকোনমিতে ৩৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে একবার পেয়েছেন ফাইফার। ২০১৯ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া সেই ফাইফারেও একটি কীর্তি গড়েছিলেন সাকিব।

বল হাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করার আগে ব্যাট হাতে সেই ম্যাচে পেয়েছিলেন একটি ফিফটি। আর এতেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে ফিফটি ও ফাইফারের কীর্তি নাম লেখান সাকিব। এর আগে যে কীর্তিটি ছিল শুধুমাত্র যুবরাজ সিংয়ের।

ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের দিক দিয়ে সাকিবের অবস্থান তিনে। বাকি চারজন কে? চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

  • মিশেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া) 

ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের শীর্ষ নামটা অজি পেসার মিশেল স্টার্কের। ক্যারিয়ারে দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০১৫ আর ২০১৯ , দুই বিশ্বকাপেই হয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার।

২০১৫ বিশ্বকাপে নিয়েছিলেন ২৩ টি উইকেট। আর সর্বশেষ বিশ্বকাপে ২৬ উইকেট নিয়ে হয়েছিল টুর্নামেন্ট সেরা বোলার। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের ১৮ ম্যাচে তাঁর দখলে রয়েছে মোট ৪৯ উইকেট।

  • ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড) 

মিশেল স্টার্কের মতো দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্টও। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসেই মিশেল স্টার্কের সাথে যুগ্মভাবে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বোলার।

দুই বিশ্বকাপ মিলিয়ে ১৯ ম্যাচে এ পেসার নিয়েছেন ৩৯ টি উইকেট। তবে নিজের খেলা দুই বিশ্বকাপেই রানার্সআপ হওয়ার তিক্ত স্বাদ নিয়েছে এ কিউই পেসারকে।

  • টিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড) 

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটর ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের দৌড়ে সাকিবের সাথে একটা সময় পর্যন্ত ইঁদুর বিড়াল খেলা হয়েছে নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদিকে।

ওয়ানডে বিশ্বকাপেও এ দুই বোলারের মধ্যে লড়াইটা যেন ঠিক এমনই। ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে ৩ বিশ্বকাপ খেলা সাউদিও সাকিবের সমান নিয়েছেন ৩৪ টি উইকেট। তবে তিনি সাকিবের চেয়ে ম্যাচ খেলেছেন ১১ টি কম, ১৮ টা।

  • মোহাম্মদ শামি (ভারত) 

বিশ্বকাপের ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডটা যুগ্মভাবে জহির খান আর জাভাগাল শ্রীনাথের। তাদের দুজনের দখলেই আছে ৪৪ টি উইকেট। তবে এবার তাদের টপকে যেতে পারেন মোহাম্মদ শামি। অন্তত আগের দুই বিশ্বকাপে শামির দুর্দান্ত পরিসংখ্যান সেটিই বলে।

২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপ মিলিয়ে এ পেসার মাত্র ১১ ম্যাচেই নিয়েছেন ৩১ টি উইকেট। যার মধ্যে ১ টি ফাইফারের পাশাপাশি নিয়েছেন ৩ বার চার উইকেট।

 

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link