চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের খেলা না হলেও নিয়মরক্ষার দু’টি ম্যাচ এখনও বাকি। তবে, সেখানে খেলা হবে না সাকিব আল হাসানের। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির জন্য বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন এই অলরাউন্ডার।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খবরটি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দলে আর কোনো স্ট্যান্ড বাই ক্রিকেটার নেই। আর নতুন করে কোনো বদলী নিচ্ছে না বিসিবি।
সুপার টুয়েলভে টানা তিন ম্যাচ হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের। এর মধ্যে নতুন দু:সংবাদে আরো কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে দলটি।
হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েছেন সাকিব আল হাসান, চলতি বিশ্বকাপে যিনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পারফরমার। আগামী দুই নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর খেলা তো বটেই, খেলতে পারবেন না শেষ ম্যাচও। ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে সপ্তাহ দুয়েকের মত সময় লাগবে।
সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে বোলিং, ফিল্ডিং কিংবা ব্যাটিং – সব সময়ই কিছু সময়ের জন্য খোড়াতে দেখা গেছে সাকিব আল হাসানকে। আপাতত সাকিবকে দু’দিনের বিশ্রামে থাকতে হবে। এরপর উন্নতি সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শারজাহ স্টেডিয়ামে ফিল্ডিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান সাকিব। কিন্তু, সেই ব্যাথা নিয়েই ফিল্ডিংয়ের পর বোলিংও করেন। এরপর ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্বোধনও করেন।
আর এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল সাকিব টানা ক্রিকেটের মধ্যে আছেন অনেকদিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়াও এই সময়ে তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ কিংবা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মত আসর খেলেছেন। ক’দিন আগে নিজেই বলেছিলেন, তিনি একটু ক্লান্ত।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ কার্য্যত শেষ। শেষ দু’টো ম্যাচ স্রেফ নিয়ম রক্ষার লড়াই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন রানে হেরে টুর্নামেন্টে সম্ভাবনা শেষ বাংলাদেশের। তাই সাকিবকে মাঠে নামিয়ে ঝুঁকি নেবে না বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
কারণ বিশ্বকাপ শেষেই বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান দল। সেই সিরিজের জন্য সাকিবকে ফিট রাখতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
টুর্নামেন্টে এখন অবধি সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক সাকিব আল হাসান। ছয় ম্যাচ খেলে তিনি নিয়েছেন ১১ টি উইকেট। এই আসরেই তিনি টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির আসনে বসেছেন। এমনকি এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসেও সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক তিনি। অন্যদিকে, ব্যাট হাতে ছয় ম্যাচে করেছেন ১৩১ রান।