বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী – সাকিব আল হাসানের মনে উক্তিটা বোধহয় ঘাঁটি গেঁড়ে বসেছে। সেজন্যই সতীর্থদের বিভীষিকাময় পারফরম্যান্সের মাঝেও লড়াইয়ের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। একা হাতে দলকে ম্যাচে রাখার চেষ্টা করেছেন – অধিনায়ক হিসেবে যতটুকু করা সম্ভব, সবটুকু করেছেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিলামের ঠিক আগে যেন নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ নতুন করে দিলেন তিনি।
এদিন ১২ বলে ১৯ রান করেছেন সাকিব আল হাসান, আহামরি বড় ইনিংস বা ভাল ব্যাটিং বলা যায় না এটাকে। অথচ নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তিনিই ছিলেন বাংলা টাইগার্সের অন্যতম সেরা ব্যাটার।
বাংলা টাইগার্সের ব্যাটিং লাইনআপে যে ধস নেমেছে সেটা এরপর আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবু সাকিব একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন শেষ পর্যন্ত, কিন্তু সঙ্গীর অভাবে বলার মত কিছু করতে পারেননি।
যদিও এই বাঁ-হাতির আসল জাদু দেখিয়েছেন বল হাতে, স্রেফ ৬৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নিউ ইয়র্ক পেয়েছিল উড়ন্ত সূচনা। তিন ওভারেই ৪১ রান তুলে নেয় তাঁরা। তবু তিনি বাইশ গজে সৃষ্টি করতে পেরেছেন মায়াজাল, আর সেই জালে আটকা পড়েছেন ডেওয়ার্ল্ড ব্রেভিস এবং আসিফ আলী।
রশিদ খানসহ বাকি বোলাররা যখন দু’হাতে রান বিলিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার তখন নিজের ওভার শেষ করেছেন কেবল এক রান খরচ করেই, সাথে দুই উইকেট তো আছেই। যদিও জয়ের জন্য সেটা যথেষ্ট হয়নি, না হওয়াটাই স্বাভাবিক। চার ওভার বাকি থাকতেই সাত উইকেটে হেরে যায় বাংলা টাইগার্স – এর মধ্য দিয়ে ব্যাক টু ব্যাক পরাজয়ের স্বাদ পেলো তাঁরা।
দল জিততে না পারলেও সাকিব অবশ্য মুগ্ধ করেছেন ঠিকই; মাঠের বাইরের এত এত বিতর্ক সত্ত্বেও তাঁর পারফরমার সত্তা ম্লান হয়নি একটুও। আগামী দুইদিন আইপিএলের নিলাম, ফ্রাঞ্চাইজিগুলো হয়তো চোখে চোখে রাখছে তাঁকে। এমন পারফরম্যান্স তাঁর গুরুত্ব নিশ্চয়ই বাড়িয়ে দিবে আরো খানিকটা।