রংপুর রাইডার্স বনাম ফরচুন বরিশালের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। বাকি সব ছাপিয়ে এই ম্যাচ হয়ে উঠেছিল তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের দ্বন্দ। লাল সবুজ ক্রিকেটাঙ্গনের সাম্প্রতিক ঘটনার সূত্র ধরে তামিম, সাকিবের এই ক্ল্যাশ অন্য রূপ ধারণ করেছিল। তামিমকে নিজের প্রথম বলেই আউট করে এই খণ্ডযুদ্ধে আপাত জয়ী হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সেই সাথে বিশেষ এক রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। বিপিএলের ইতিহাসের সর্বাধিক রান সংগ্রাহককে সবচেয়ে বেশিবার আউট করার কীর্তি এখন তাঁর দখলে। শুধু তাই নয়, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও এই ওপেনার সবচেয়ে বেশি যেই বাঁ-হাতি স্পিনারের বলে আউট হয়েছেন সেই নামটা সাকিবেরই।
এদিন অবশ্য শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন চট্টলার খান সাহেব। প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে সূচনাতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আক্রমণের; কিন্তু সাকিব বোলিংয়ে আসতেই একটু সমীহ করতে চাইলেন – সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ালো তাঁর জন্য। বলের ফ্লাইট বুঝতে না পেরে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন মুমিনুল হকের হাতে।
একসময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকলেও এখন হয়তো দুই তারকার মাঝে আগের সেই সম্পর্ক নেই। তবে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মধুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবসময়ই চলমান আছে – তাই তো এই অর্জন কিছুটা হলেও তুষ্ট করবে সাকিবকে, অন্তত তামিমকে আউট করার পর উদযাপনও সেটাই ইঙ্গিত করে।
আর সেই উদযাপন বেশ বিতর্ক ছড়িয়েছে। যদিও এতে সাকিব আল হাসান জিতেছেন, তামিম ইকবাল হেরে গিয়েছেন সেটা ভাবার কোন কারণ নেই। সাকিবের বলে আউট হলেও তাঁর কিংবা তাঁর দলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ রান ঠিকই করেছেন তামিম।
এইতো রংপুরের বিপক্ষে ২০ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেন তিনি। সাকিব-তামিমের এই দ্বৈরথ তাই ক্রমশ আরও উত্তেজনার মাত্রা ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভুবনে