জাতীয় দলে সাদা বলে শেষ খেলেছিলেন ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে। দীর্ঘ বিরতির পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আবারো সাদা বলের ফরম্যাটে দেশের জার্সিতে দেখা যেতে পারে সাকিব আল হাসানকে। যদিও মাঝে গুটি কয়েক ম্যাচ খেলেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। তবে জাতীয় দলে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন বেশ অনেকদিন পর।
সাকিবের প্রত্যাবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেন, ‘আমরা সাকিবের সাথে যোগাযোগ করেছি। এই মাসের শেষের দিকে সে ঢাকা ফিরতে পারে। খুব সম্ভবত সে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দুই একটি ম্যাচ খেলতে পারে। তারপরেই সে জাতীয় দলের সাথে সংযুক্ত হবে। সেখানে সে ক্রিকেটিং স্কিল ট্রেনিং করতে পারে। আমরা অবশ্যই চাইবো সে জিম্বাবুয়ে সিরিজে কয়েকটি ম্যাচ খেলুক। আমরা আগামী ২৮ এপ্রিল দল ঘোষণা করবো। ততদিনে তাঁকে দলে পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।’
চোখের সমস্যা এবং আঙুলের ইনজুরির কারণে ২০২৩ বিশ্বকাপের পর আর তাঁকে দলের সাথে দেখা যায়নি। তিনি সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের মধ্য দিয়ে আবার লাল বলের ফরম্যাটে প্রবেশ করেন।
গত মঙ্গলবার, বাংলাদেশ ১৭ জনের প্রস্তুতিমূলক দল ঘোষণা করেন। সেই দলের সদস্যরা আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ নিবেন। তবে এই দলে সংযুক্ত করা হয়নি সাকিব আর মুস্তাফিজুর রহমানের নাম।
মুস্তাফিজ আগামী ১ মে পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলবেন। আশরাফ হোসেন আরো বলেন, ‘মুস্তাফিজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অনুপস্থিত থাকবেন।’
বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ খেলবে যথাক্রমে ৩, ৫, এবং ৭ মে চট্টগ্রামে। শেষের দুইটি ম্যাচ হবে ১০ এবং ১২ মে ঢাকাতে। সাকিবের উপস্থিতিই দলে বাড়তি শক্তি যোগায়। তাছাড়া ব্যাট আর বল হাতে তাঁর কারিশমা তো আছেই। সাকিবের প্রত্যাবর্তন দলে কতটা প্রভাব ফেলে তার দেখার অপেক্ষাই করছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা।