অধিনায়ক শানাকা, শ্রীলঙ্কার ত্রাতা

দাসুন শানাকা - হুট করেই অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা দলের। কিন্তু ভড়কে যাননি তিনি, শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন ভঙ্গুর দলটার। তরুণদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন নতুন এক উদীয়মান শক্তি। হয়তো অধিনায়ক হিসেবে তাঁকে স্টিভেন স্মিথ কিংবা বিরাট কোহলির সাথে তুলনীয় নন, তবে নিজের জায়গায় ঠিকই সেরা শানাকা।

দাসুন শানাকা – হুট করেই অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা দলের। কিন্তু ভড়কে যাননি তিনি, শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন ভঙ্গুর দলটার। তরুণদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন নতুন এক উদীয়মান শক্তি। হয়তো অধিনায়ক হিসেবে তাঁকে স্টিভেন স্মিথ কিংবা বিরাট কোহলির সাথে তুলনীয় নন, তবে নিজের জায়গায় ঠিকই সেরা শানাকা।

সতীর্থদের থেকে সেরাটা বের করে আনা, মাঠে তাৎক্ষণিক গেমপ্ল্যান তৈরি কিংবা বোলিং, ফিল্ডিং চেঞ্জ – সবদিকেই লেটার মার্ক সহ পাশ করেছেন দাসুন শানাকা। ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে আরো একবার নিজের এই নেতৃত্ব গুণ দেখালেন তিনি।

পাকিস্তানের মত দলের বিপক্ষে যেখানে ভারতীয় ব্যাটাররা তান্ডব চালিয়েছিল সেখানে পরেরদিনই তাঁদের ২০০ এর আশেপাশেই আটকে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা; আর এই কৃতিত্বের অনেকখানি প্রাপ্য দাসুন শানাকার। যখনই দেখেছেন ক্রিজে স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছে তখন প্রি-প্ল্যান থেকে বের হয়ে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই তো পাথিরানা, রাজিথার মত নিয়মিত বোলাররা পাঁচ ওভারও হাত ঘোরাননি।

পাওয়ার প্লেতে মোটেই রোহিত, গিলদের পরীক্ষা নিতেই পারেননি শ্রীলঙ্কান পেসাররা। ঠিক উল্টো চিত্র দেখা গিয়েছে স্পিনাররা আক্রমণে আসতেই। বিশেষ করে দুনিথ ওয়েলেলাগে শুরু থেকেই উইকেট তুলে চাপ বাড়ান ভারতের উপর। সেই সাথে অন্য স্পিনাররাও রানের গতি আটকে দেন।

দাসুন শানাকা সেটা লক্ষ্য করেই টানা ব্যবহার করে গেলেন স্পিনারদের। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দুনিথ ওয়েলেলাগে দুজনে পূর্ণ করেছেন দশ ওভারের কোটা; এছাড়া থিকসানার দশম ওভার অসমাপ্ত ছিল এবং চারিথ আসালঙ্কা হাত ঘুরিয়েছেন নয় ওভার। সবমিলিয়ে স্পিনাররা করেছেন ৩৮.১ ওভার।

বাকি এগারো ওভার করেছেন পেসাররা, যেখানে কাসুন রাজিথা ও পাথিরানা করেছে চারটি করে এবং শানাকা তিনটি। আর এসময় রান এসেছে মোট ৮৫, ইকোনমি প্রায় ৮ এর কাছাকাছি। অথচ স্পিনাররা বল করেছে ৩.৫ এর কমও ইকোনমিতে।

এতেই স্পষ্ট হয়ে যায় দাসুন শানাকার মুন্সিয়ানা। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়মিত বোলারদের সরিয়ে নিতে দ্বিধা হয়নি তাঁর। বরং আসালঙ্কা, ডি সিলভাদের মত পার্ট টাইমারদের দিয়েই প্রতিপক্ষের উপর আক্রমণ চালিয়েছেন।

২০২২ সালের এশিয়া কাপে সবাইকে অবাক করে দিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কা, সেই দলেরও অধিনায়ক ছিলেন দাসুন শানাকা। লঙ্কান ভক্ত-সমর্থকেরা তাই আশা করতেই পারে এ বছরও শানাকার নেতৃত্বে দারুণ কিছু ঘটবে দেশটির ক্রিকেট অঙ্গনে – এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারও ছুটছেন সেই লক্ষ্যেই।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...