তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত

বর্তমানে বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, সম্প্রতি মাঠের বাইরের বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার আলোচনার এসেছেন তিনি। তবে এবার আলোচনাটা মাঠের সাকিবকে নিয়ে, সাকিবের অধিনায়কত্ব নিয়ে। ক্রিকেটাঙ্গনে গুঞ্জন উঠেছে টাইগার দলপতি হয়ে আর হয়তো টস করতে দেখা যাবে না তাঁকে। নেতৃত্ব দিতে তাঁর আগ্রহ না থাকায় অধিনায়কত্ব নিয়ে নতুন করে ভেবেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।

ভারত বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জানিয়েছিলেন অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছে নেই তেমন। বৈশ্বিক আসর শেষে আর একদিনও নেতৃত্বের আসনে থাকতে চান না তিনি। তবে বিশ্বকাপের শেষদিকে চোট পাওয়ার উল্লেখযোগ্য একটা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। সেসময় অন্তবর্তীকালীন অধিনায়ক দিয়েই কাজ চালিয়েছিল টিম বাংলাদেশ।

সাকিবের অনুপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ ও কিউইদের মাটিতে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে টস করতে নেমেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাকিবের অনাগ্রহের কারণে এবার খুব সম্ভবত পূর্ণাঙ্গভাবে নেতৃত্ব ভার পেতে যাচ্ছেন তিনি। শীঘ্রই সেটার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বিসিবির পক্ষ থেকে।

বিশ্বকাপের আগে সেপ্টেম্বরে ব্ল্যাকক্যাপসদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে দিয়ে অভিষেক হয় ক্যাপ্টেন শান্তর। এরপর বিশ্বকাপেও নিয়মিত অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নেতৃত্ব দিতে হয়েছিল তাঁকে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে মোট এগারো ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

এর মাঝে সাদা পোশাকে তাঁর অধিনায়কত্বে দুইটি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। তাঁর অধীনেই প্রথমবারের মত ঘরের মাঠে কিউইদের লাল বলের খেলায় হারিয়েছিল তাইজুল, মিরাজরা। আর বিশ ওভারের ফরম্যাটে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তিন ম্যাচে একটি জয়, একটি পরাজয়ের রেকর্ড রয়েছে। জয়টা অবশ্য ছিল টিম সাউদিদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়।

ওয়ানডেতে বারবার শক্ত প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হওয়া শান্ত প্রায় প্রতিবারই চেষ্টা করেছেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার। তবে অধিকাংশ সময় ব্যর্থ হয়েছেন তিনি, ছয় ম্যাচ খেলে পাঁচ ম্যাচেই হেরেছেন। কিন্তু যে একটা জয় এসেছে সেটা লাল-সবুজের ভক্তরা মনে রাখবে অনেকদিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link