পাকিস্তানের জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটির উপর চটেছেন সাবেক শোয়েব মালিক। ক্রিকেটারদের স্কিলের উপর ভিত্তি না করে তাঁদের চুক্তির উপর ভিত্তি করে দলে নেওয়ায় বেশ ক্ষুব্ধ এই পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটার। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন তিনি, এরপর সবশেষ গত বছর সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেন। এরপর আর টি-টোয়েন্টি তে সুযোগ পাননি তিনি।
মালিকের জন্য বিষয়টা খুব আক্ষেপের। কারণ, একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেই তিনি ইতি টানতে চান নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের।
সাবেক অধিনায়ক মালিক বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটে পছন্দ এবং অপছন্দের একটা সিস্টেম আছে, যেটা অন্যান্য দেশের সংস্কৃতিতেও কিছুটা আছে তবে আমাদের এখানে সেটা একটু বেশি। আমাদের এখানে পরিবর্তন টা তখনি আসবে যখন একজনের ব্যক্তিগত পছন্দের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে স্কিলের প্রতি গুরুত্ব দিবে।
তিনি মনে করেন, অধিনায়ক বাবর আজমও মাঠে তাঁর পছন্দসই দল পান না। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে স্কোয়াড আছে যেখানে অনেককেই বাবর নিতে চায় কিন্তু নির্বাচকরা তাদের নেন না। প্রত্যেকেরই মতামত থাকবে তবে অবশ্যই ফাইনাল সিদ্ধান্তটা অধিনায়কের হওয়া উচিত কারণ অধিনায়কই মাঠে তাদেরকে নিয়ে লড়াইটা করবে।’
এখানে তিনি সতর্ক করে দেন বাবর আজমকে। বললেন, ‘আমি আমার অধিনায়কের অধীনে খেলেছি যে তার নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। তারা ছিলেন ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, ইনজামাম উল হক এবং শহিদ আফ্রিদি। একজন অধিনায়ক হতে হলে অন্যদের কথায় কাজ করা যাবে না। তারা কখনোই খুশি হবে না এবং তুমিও বেশিদিন অধিনায়ক হিসেবে টিকতে পারবে না।’
নিজের ভাগ্য নিয়ে আপাততা ভাবছেন না। তিনি বরং পরবর্তী প্রজন্মের ভাগ্য সুরক্ষিত করার পক্ষে। বললেন, ‘আমার ভাগ্যে কি আছে সেটা আল্লাহ জানেন। সেটাতে কারো নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি আর সুযোগ না পেলেও আমার কোনো দু:খ নেই। কিন্তু আমার দুঃখ হবে যদি আমার পরবর্তী ক্রিকেটারদের পক্ষে আমি কিছু না বলতে পারি।’
পাকিস্তান ক্রিকেটের কোচিং প্যানেলও শোয়েব মালিকের পছন্দ নয়। তিনি মিসবাহ উল হককে পছন্দ করলেও মন্তব্য করেছেন যে প্রয়োজনের আগেই কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। মালিক বলেন, ‘আমি মিসবাহ উল হকের বিপক্ষে না, সে বেশ দূর্দান্ত ক্রিকেটার ছিলেন এবং ভালো মানুষও। আমি তাকে সম্মান করি। কিন্তু আমি মনে করি মিসবাহর আরো সময় প্রয়োজন এবং তার ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচিং করানো উচিত তারপর তাকে পাকিস্তানের কোচ হিসেবে আনা উচিত।’