দ্বৈরথ ছাপিয়ে স্পোর্টসম্যানশিপের জয়

দৃশ্যটা খুবই স্বাভাবিক। ক্রিকেট মাঠে এমন দৃশ্য দেখে আপনি-আমি সবাই অভ্যস্ত। ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়ানো ব্যাটারদের জন্য এ যেন একটা বাড়তি দায়িত্ব, ব্যাটারদের জুতোর ফিতা আলগা হয়ে গেলে বেঁধে দিতে হবে তাঁকেই। এরকম দৃশ্য স্যোশাল মিডিয়াতেও আজকাল লোকে পোস্ট করে খুব কম।

দৃশ্যটা খুবই স্বাভাবিক। ক্রিকেট মাঠে এমন দৃশ্য দেখে আপনি-আমি সবাই অভ্যস্ত। ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়ানো ব্যাটারদের জন্য এ যেন একটা বাড়তি দায়িত্ব, ব্যাটারদের জুতোর ফিতা আলগা হয়ে গেলে বেঁধে দিতে হবে তাঁকেই। এরকম দৃশ্য স্যোশাল মিডিয়াতেও আজকাল লোকে পোস্ট করে খুব কম।

তারপরও এই দৃশ্যটা আলাদা, এই মুহূর্তটা আলাদা গুরুত্ববহ। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ এখন আর দশটা সাধারণ ম্যাচ নয়। এই দু’দল মুখোমুখি হলেই এখন ছড়ায় অন্যরকম উত্তেজনা।

আর সেই উত্তেজনায় গা ভাসান দু’দলের ক্রিকেটাররাও। কখনও টাইমড আউট, কখনও নাগিন নৃত্য – দুই দলের উদযাপনের ধরণগুলোও খুব বিচিত্র।

উদযাপন ছাপিয়ে মাঠেই দু’দল কখনও দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। লাহিরু কুমারাকে চোখ রাঙিয়ে দেন লিটন দাস, কিংবা আউট হয়ে লঙ্কান ফিল্ডারদের জটলার দিকে তেড়ে যান তাওহীদ হৃদয়।

এই সব উদাহরণেই বোঝা যায়, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ এখন স্রেফ কোনো ম্যাচ নয়। ম্যাচ ছাপিয়ে এটা এখন যুদ্ধ। এটা এখন প্রতিশোধের মঞ্চ।

আর সেই মঞ্চেই লঙ্কান বোলারদের গলার কাঁটা হয়ে চেপে বসেছিলেন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশ কেন, নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নেমে এমন মাটি কামড়ে পরে থাকা ইনিংস রোজ রোজ দেখা যায় না।

সেই অবস্থায় তাঁর ঢিলে হয়ে যাওয়া জুতোর ফিতা বেঁধে দিলেন লঙ্কান ফিল্ডাররা, একবার নয় – কয়েক দফা। তাতে যে, দু’দলের আলগা হয়ে আসা বন্ধুত্বের বন্ধনেও কিছুটা জোড়া তালি দেওয়া গেল। দ্বৈরথ ছাপিয়ে স্পোর্টসম্যানশিপের ভাঙা রেডিও বেজে উঠল আবারও।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...