অধিনায়ক তিনি, অথচ মাঠে থাকলেন মোটে বিশ মিনিট। চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, ম্যাচের আগে ভারতের দিকে মোটেই মনোযোগ ছিল না তপু বর্মনের। তিনি ছিলেন শপিংয়ে। সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের হাতে তিনি ধরাও পড়েন। আর এমন শৃঙ্খলাভঙ্গের ইতিহাস তাঁর আগেও ছিল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে সেটা নতুন করে সামনে আসল।
অথচ, বাংলাদেশ দল তখন হোটেলে ম্যাচের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। কোচ পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন, সতীর্থরা নিজেদের মতো গুছিয়ে নিচ্ছেন। তবে, সেই সময় অধিনায়ক তপু বর্মণ নেমে পড়েছিলেন শপিংয়ে! ম্যাচের প্রতি তাঁর মনোযোগ, দলের প্রতি তাঁর ডেডিকেশন নিয়ে তাই প্রশ্ন তোলাই যায়।
হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা তাঁর আগে থেকেই ছিল। কিন্তু, ম্যাচের আগে তিনি শিলংয়ের বাজারে। জার্সি, ক্যাপ, নানারকম স্মারক — কেনাকাটা করলেন অনেক কিছুই, আবার ঘোরাঘুরিও করলেন একদম নির্ভার হয়ে। যেন সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ নেই!
তারপর যখন মাঠে নামলেন, তখনই যেন শুরু হলো আসল গল্প। মাত্র ২০ মিনিট খেলার পরই তিনি টাচলাইনের বাইরে! চোট পেয়েছেন হ্যামস্ট্রিংয়ে। কেউ কেউ বলছিলেন, শরীর যথেষ্ট প্রস্তুত ছিল না। কারও কারও প্রশ্ন ছিল, ম্যাচের আগে শপিংয়ে হাঁটাহাঁটিই কি দায়ী?
তপু মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার পরই বাংলাদেশের রক্ষণ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যায়। হামজা চৌধুরীকে বাধ্য হয়ে নিচে নামতে হয়। ফলাফল, ম্যাচ ড্র। একজন অধিনায়ক ম্যাচের আগে শপিং করতে পারেন? আন্তর্জাতিক ফুটবলে এমন ঘটনা বিরল। ফুটবলের প্রতি তপুর সিরিয়াসনেস নিয়েই তাই প্রশ্ন উঠছে!